কলকাতা: সৌরনীলের মৃত্যুর পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা (Kolkata) ট্র্যাফিক পুলিশ। বেহালায় বেড়েছে নজরদারি। কলকতার ফুটপাত দখলমুক্ত করতে মনিটরিং সেল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে বলে খবর। কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা পৌরসভা যৌথভাবে এই নজরদারি চালাবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু, শহরের অনেক নিয়মই তো রয়ে গিয়েছে খাতায়-কলমে। নিয়ম বলছে, পিচের রাস্তায় বসবে না হকার। গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিংয়ের আশেপাশে বসবে না হকার। চলাচলের জায়গা রাখতে হবে ফুটপাতে। কিন্তু, বাস্তব বলছে কলকাতার বহু ফুটপাতই দখল হয়ে গিয়েছে। চলছে হকারদের দৌরাত্ম্য। তাই নয়া সিদ্ধান্ত হলেও প্রশ্ন উঠছে, কলকাতার হকার সমস্যার সমাধান কি আদৌ সম্ভব? আদৌ দখলমুক্ত হবে কলকাতার রাস্তা, ফুটপাত?
হকার নিয়ন্ত্রণ যে সম্ভব হচ্ছে না তা মেনে নিচ্ছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজেও। বলছেন, “অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এটা। এটা ঠিক যে কিছু কিছু জায়গায় হটাৎ করেই দখল হয়ে যাচ্ছে। অনেকেই নিয়মটা মানছে না। আমি তাই আমি আর একবার দ্রুত আতে নিয়ম বলবৎ করতে আমি পুলিশ-প্রশাসনকে বলব।”
হকার সমস্যা মেটাতে গড়া টাউন ভেন্ডিং কমিটির গুচ্ছ গুচ্ছ নির্দেশই সার। হকারদের নিয়ে সমীক্ষাও নামকাওয়াস্তে। অভিযোগ, নিউমার্কেট, গড়িয়াহাট এবং শ্যামপুকুর এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে হাত পা গুটিয়ে রয়েছে টাউন ভেন্ডিং কমিটি। ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভেবে পুর বা রাজ্য প্রশাসনও আদৌ হকার সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায় কি না, উঠছে সেই প্রশ্নও। রীতিমতো ক্ষোভের সুরে এক পথচারী বলছেন, “নেতাদের মাথায় হাত বুলিয়ে সব ফুটপাতে বসে পড়ছে। দখল হয়ে যাচ্ছে ফুটপাত। দুর্ঘটনার সংখ্যাও বাড়ছে।” আর একজন বলছেন, “একজন বসলে তাঁকে দেখে আরও একজন বসে পড়ছে। এভাবেই তো বাড়ছে হকারদের ভিড়। একবার দোকান খুলে বসলে ওরা জায়গাটাকে নিজেদের ভাবতে শুরু করে দেয়।” একই সুর আরও এক পথচারীর মুখে। বলছেন, সবই দেখছি। কী আর করব। এভাবেই তো চলতে হচ্ছে আমাদের।