কলকাতা: কর্নাটকের ভোটে (Karnataka Election Result) হেরেছে বিজেপি। জিতেছে কংগ্রেস। আর বাংলায় মিছিল করেছে সিপিএম (CPIM)। আর এই নিয়েই বামদের কটাক্ষ করলেন তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র তথা বাংলার শাসক দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। চাঁচাছোলা ভাষায় বামেদের নিশানা করে কুণাল বললেন, ‘সিপিএম দ্বিচারী, ধান্দাবাজ ও দু’নম্বরি। কর্নাটকে সিপিএম লড়তে গেল কেন? কত ভোট পেয়েছে? ০.০৬ শতাংশ পেয়েছে। সেখানে এমন আসনও আছে, যেখানে জেডিএস-এর সমর্থন নিয়ে সিপিএম কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়েছে। কিন্তু সেখানে কংগ্রেস জিতেছে। সিপিএম কর্নাটকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়ল। হেরে গেল। ভোট কাটার খেলা খেলল।’
এরপরই কর্নাটকের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সিপিএমকে একহাত নিয়ে বললেন, ‘এখানে এসে নির্লজ্জ বেহায়ারা কংগ্রেস জিতেছে বলে মিছিল করছে। এই দ্বিচারিতার তো একটা সীমা থাকবে।’ সিপিএমকে একটি অপ্রাসঙ্গিক, দিশাহীন দল বলেও আক্রমণ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, কর্নাটকে বিজেপির হারের সন্ধেয় যাদবপুরে সিপিএমের এরিয়া কমিটি একটি মিছিল বের করেছিল। নেতৃত্বে ছিলেন বর্ষীয়ান বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সামনে ছিল বড় ব্যানার। তাতে লেখা ছিল, কর্নাটকবাসীকে অভিনন্দন। সুজনবাবুর বক্তব্য ছিল, কে জিতল সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কে হারল সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিজেপির হারকেই যে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, তাও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে কুণালের খোঁচার পর সোমবার পাল্টা দিয়েছেন সুজন চক্রবর্তীও। তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ করে সুজনবাবু বলেন, ‘তৃণমূলকে কর্নাটকে যেতে হবে। সেই যাওয়ার যোগ্যতা ওদের নেই। আর সিপিএমকে ওখানে যেতে হবে না। সিপিএম ওখানে আছেই। কর্নাটকে অতীতে সিপিএম বিধানসভায় জিতেছে। বিজেপিকে হারানো নিশ্চিত করতেই আমরা প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে লিমিট করেছি।’ তাঁর বক্তব্য, তৃণমূল গোয়ায়, মেঘালয়ে, ত্রিপুরায় গিয়েছে বিজেপিকে সাহায্য করার জন্য। বললেন, ‘হিমাচল ও কর্নাটকে চেষ্টা করেও যাওয়ার সুযোগ পায়নি। যদি যাওয়ার সুযোগ পেত, তাহলে বিজেপি ওদের ভাড়া করে নিয়ে যেত। ওই রাজ্যগুলিতে ওরা যায়নি বলেই কংগ্রেস জিতেছে।’