কলকাতা: হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়েই এদিন কলকাতার রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলা শুধু নয়, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছাতুর শরবতও খেয়েছেন রাজ্যপাল। তারপরই রাজ্যপালকে ‘মুখ্য বনপাল’ বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর দাবি, বন্যপ্রাণীরা ঢুকে পড়লে যেভাবে মুখ্য বনপালকে আসরে নামতে হয়, তেমনই রাস্তায় নেমেছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল রাস্তায় নামার ফলে খুব বেশি উপকার হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ছিল হনুমান জয়ন্তী। সেই উপলক্ষ্যে শহরের রাস্তায় মিছিল হওয়ার কথাও ছিল। আদালতের নির্দেশ মতো এদিন শহরের বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আমাদের পর্যটন দফতরে অনেক প্যাকেজ ট্যুর আছে। রাজ্যপাল যেতেই পারেন। গরম পড়েছে তাই ছাতুর শরবত খেয়েছেন। শীতে বের হলে কফি খেতেন।’ কুণালের দাবি, কেন্দ্র কিংবা রাজ্য কেউ রাজ্যপালকে রাস্তায় নামতে বলেনি, তা সত্ত্বেও তাঁর মনে হয়েছে তাই তিনি গিয়েছেন। কুণাল আরও বলেন, ‘গন্ডগোল কিছু তো হয়নি। তাই রাজ্যপালকে গিয়ে কিছু থামাতে হয়নি। রাজ্যপাল গিয়ে বিরাট উপকার হয়েছে এমন নয়।’ রাজ্যপালের মনোভাব এখনও পর্যন্ত তৃণমূল-পন্থী বা তৃণমূল-বিরোধী নয় বলেও মন্তব্য করেছেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘আসলে শহরে বন্যপ্রাণী ঢুকে পড়লে বনকর্মীদের টহল দিতে হয়, আর তখন মুখ্য বনপালকেই তো ঘুরতে হয়।’
এদিন সকালে লেকটাউনে পুজো সেরেই একবালপুর চলে যান রাজ্যপাল। এক দোকানির সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাজ্যপাল সব শোনেন, আশ্বাস দিলেন, শেষে হাতও মেলান।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রিষড়ায় অশান্তির অভিযোগ সামনে আসার পর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তারপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধানের মতো আচরণ করেননি।