কলকাতা : সারদার যে মামলায় কুণাল ঘোষকে প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছিলে কুণাল। সেই মামলা থেকে অবশেষে মুক্তি পেলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ২০১৩ সালের ২৩ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। বৃহস্পতিবার বিধায়ক-সাংসদদের আদালতে ছিল সেই মামলার শুনানি। কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী এ দিন আদালতে জানান, কুণাল ঘোষকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত বিচারক মনোজ্যোতি ডট্টাচার্য এ দিন কুণালকে অভিযোগ- মুক্ত ঘোষণা করেন। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও সোমনাথ দত্তকেও অভিযোগ-মুক্ত ঘোষণা করা হয় এ দিন। সংশ্লিষ্ট মামলা থেকে অব্যাহতি পান তাঁরা প্রত্যেকেই।
সারদা গোষ্ঠীর মিডিয়ার বেতন ও পিএফ সংক্রান্ত মামলায় প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন কুণাল। মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। সরকারি আইনজীবীও স্বীকার করেন, এভাবে গ্রেফতারে যে তথ্য প্রমাণ দরকার ছিল, তা পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালে যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল, তাতেও সে সবের উল্লেখ নেই। বিচারক বলেন, ‘শুধু কুণাল নন, অভিযুক্ত সকলকেই ডিসচার্জড ঘোষণা করছি।’ কুণালের আইনজীবী এ দিন আরও বলেন, ‘অকারণে আমার মক্কেলকে হয়রান করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত মে মাসে আত্মহত্যার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। ২০১৩ সালে একটি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কুণাল ঘোষকে। তাঁকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল। ২০১৪ সালে ১৩ নভেম্বরে আচমকাই জেলের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, কুণাল ঘোষ একসঙ্গে অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। কুণাল ঘোষকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সল্টলেকের এমএলএ-এমপি আদালতে কুণাল ঘোষের আত্মহত্যার চেষ্টার মামলাও চলে দীর্ঘদিন ধরে।