কলকাতা : বাম ও বিজেপিই আন্দোলনকারীদের প্ররোচনা দিচ্ছেন ও বিভ্রান্ত করছেন। সস্তার রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। করুণাময়ী-কাণ্ডের পর এই ভাষাতেই বিরোধীদের তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, বাম বা বিজেপি বাংলার বাইরে অন্যান্য রাজ্যে যা করেছে, সেই পাপস্খালন করারস জন্যই এভাবেন আন্দোলনকারীদের প্ররোচণা দিচ্ছেন।
নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দুর্নীতি-বিতর্ক সামাল দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে রাজ্যে নতুন করে শুরু হয়েছে আন্দোলন। গত কয়েকদিন ধরে সল্টলেকের রাস্তায় আমরণ অনশন চলার পর বৃহস্পতিবার রাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আন্দোলনকারীদের তুলে নিয়ে যেতে যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিল পুলিশ, সেই সময় বাম ও বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা-নেত্রীকে ধর্নাস্থলে যেতে দেখা যায়। উপস্থিত ছিলেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল, বিজেপি নেতা সজল ঘোষ প্রমুখ। আন্দোলনকারীদের আটক করায় সরব হন তাঁরা।
শুক্রবার এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, এই যে বড় বড় কথা বলছেন, ওঁদের কোনও নৈতিক অধিকার নেই। তিনি মনে করিয়ে দেন, বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। তাঁদের ওপর দমন পীড়ন চলছে বলেও দাবি কুণালের। ত্রিপুরার জন্য কৈফিয়ত দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ত্রিপুরায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে, যে ভাষায় কথা বলা হচ্ছে এখানে তেমনটা করা হচ্ছে না। কুণালের অভিযোগ, বাম আমলে প্রত্যেক হোলটাইমারের বাড়িতে কেউ না কেউ সরকারি চাকরি করতেন। আর বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথা তুলেও তোপ দাগেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘এখানে নাটক করতে এসেছেন? সবাই কি সব ভুলে গিয়েছে? আন্দোলনকারীদের প্ররোচিত করে, বিভ্রান্ত করে সস্তার রাজনীতি করা হচ্ছে।’
কুণালের মতে, রাস্তায় না নেমে আদালতে যাওয়া উচিত। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু তথা শিক্ষা দফতর জট খোলার চেষ্টা করছে।