কলকাতা: ভাইফোঁটার দুপুরে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে দেখা গিয়েছিল মুকুল রায়কে। শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও এসেছিলেন মমতার বাড়িতে। আর তা নিয়েই জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বিজেপি যদি নির্বাচনে সফল হত, তাহলেও এই দৃশ্য দেখা যেত কি না, তা নিয়ে বাঁকা প্রশ্ন খুঁচিয়ে দিয়েছেন কুণাল বাবু। শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেন, “ভাইফোঁটাটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। মমতাদির ভাইফোঁটায় যাঁরা গিয়েছেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহুদিনের পুরনো সাথী। তাঁরা যদি ব্যক্তিগত সম্পর্কে উপর দাঁড়িয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে দলের তরফ থেকে কিছু বলা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়।”
সেই সঙ্গে কুণাল বাবুর আরও সংযোজন, “যে দুইজন গিয়েছেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন রয়েছেন। প্রত্যেক বছরই তাঁরা ভাইফোঁটা নিয়ে এসেছেন। মাঝে একটু সমস্যা হয়েছিল। তাঁরা অন্য দলে চলে গিয়েছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে, মমতাদির দলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে যা যা করার করেছেন। বিজেপি যদি সফল হত, তৃণমূল যদি কম সফল হত, তাহলেও তাঁদের ভাইফোঁটার টান দেখা যেত কি না, তা তো আমি বলতে পারব না। তবে বাস্তবটা মেনে নেওয়াই ভাল।” তৃণমূল মুখপাত্রের বক্তব্য, “যদি এখন দিদির ভালবাসায় মাঝখানের অধ্যায়টি ভুলে গিয়ে আবার ভাইফোঁটা নিতে যান, এটা তো ভাল কথা।”
এই নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমরা নির্বাচনের সময় ভোট চাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেখিয়ে। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করে আমাদের প্রত্যেককে ভোট দেয়। তৃণমূলের এতটা দুরাবস্থা হয়নি, যে একে তাকে দেখিয়ে ভোট চাইব বা ভোটে তাদের কোনও কন্ট্রিবিউশন আছে। ব্যাক্তিগতভাবে গিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল কারও মুখাপেক্ষী নয়। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের সমর্থনে ছিল, আছে, থাকবে।”