কলকাতা: চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন উত্তরের রাজনীতি (North Bengal Politics)। কী চলছে সেখানে? তা নিয়েই জোর জল্পনা। সৌজন্যে, বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যর বাড়িতে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার যাওয়া। রাজু বিস্তার সঙ্গে ছিলেন অশোক বাবুর এককালের ‘রাজনৈতিক শিষ্য’ তথা বর্তমান বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও। এই নিয়ে তৃণমূল মুখপত্র জাগো বাংলায় ‘সরকার ফেলে দেব সঙ্গে থাকুন’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘সৌজন্য সাক্ষাতের আড়ালে বাংলা দখলের চক্রান্তে শামিল বিজেপি-সিপিএম।’ যদিও অশোকবাবুর বক্তব্য ‘দীপাবলির শুভেচ্ছা’ জানাতে এসেছিলেন তাঁরা। তাঁর প্রশ্ন, “একটা মানুষ যদি হঠাৎ করে এসে শুভেচ্ছা জানান, তাঁকে বলব ঢুকতে দেব না? এত অসৌজন্যতা আমি দেখাতে পারব না।” তবে এবার ‘অন্দরমহল সূত্রের’ কথা শোনালেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “গতকাল শিলিগুড়িতে বিজেপি এবং সিপিএম-এর যে বৈঠকটি হয়েছে, তাতে আরও বেশি করে প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে, অন্ধ তৃণমূল বিরোধিতা থেকে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস এ রাজ্যে কীভাবে একসঙ্গে চলছে। অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদ। একাধিক সূত্রের খবর, তাঁরা বলছেন ব্যক্তিগত সৌজন্য, পারিবারিক দুর্ঘটনার সমবেদনা, বিজয়া ইত্যাদি। কিন্তু অন্দরমহলের সূত্র বলছে, বিজেপি উত্তরবঙ্গকে ভাগ করার চক্রান্ত করছে, এবং ডিসেম্বর ডিসেম্বর বলে একটি অগণতান্ত্রিক চক্রান্ত রূপায়নের চেষ্টা তাঁদের নেতাদের মুখ থেকে বেরোচ্ছে, সেই নিয়ে সাহায্য চাইতেই নাকি অশোক বাবুর কাছে গিয়েছিলেন।” যদিও কুণাল ঘোষ এও স্পষ্ট করে দেন, “অশোক বাবু কী বলেছেন, তাঁর দল কী বলবে, সেটি সম্পূর্ণ তাদের বিষয়।”
সঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র এদিন আরও বলেন, “এটও সত্য, বামেদের ভোটব্যাঙ্কটাই তো বিজেপির কাছে গিয়েছে। এ রাজ্যে সিপিএম ও কংগ্রেস যে বিজেপির বি টিম। একুশ সালেও যখন মমতা ও অভিষেকের নেতৃত্বে বিজেপির এই আগ্রাসী মনোভাবকে ঠেকানোর চেষ্টা হচ্ছে, তখন এই সিপিএম-কংগ্রেস জোট বেঁধে ভোট কেটে দিয়ে বিজেপির সুবিধা করে দেওয়ার চেষ্টা করে দিয়েছে। পরিণামে শূন্য পেয়েছে তারা।”
অশোক ভট্টাচার্য এদিন যে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা বলেছেন, সেই বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “উনি বর্ষীয়ান নেতা। আসল কারণগুলি বলে দেবেন, তা তো হয় না। তাই উনি এসব কথা বলছেন।” বিজেপি, সিপএম, কংগ্রেস একে অপরের ‘পরিপূরক’ হিসেবে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।