কলকাতা: মহাষ্টমীর সন্ধ্যায় শহর জুড়ে যখন মানুষের ঢল, তারই মধ্য়ে বামনেতাদের আটক করার ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ল। এ দিন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সহ বেশ কয়েকজন বাম নেতাকে আটক করা হয় রাসবিহারী থেকে। প্রতিবাদ সভা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। আটক করা হয় পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়কেও। সেই ঘটনায় পাল্টা বামেদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
বামেদের বুক স্টল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করেই বিতর্কের সূত্রপাত। তার জেরেই এ দিন ছিল প্রতিবাদ সভা। বাম নেতারা গ্রেফতার হওয়ার পর পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ঘটনা নিন্দা করে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বইকে এত ভয়?’ এ কথা শুনেই কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এসব আঁতেল টাইপের কথা বলা ঠিক নয়। বই পড়ি, বই সবাই ভালবাসি।’ তবে তাঁর দাবি, পুজোর সময় আদতে প্ররোচণা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বামেরা।
বাম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এ দিন জানান, রাসবিহারীর কাছে তাঁদের বুক স্টলে লাগানো ছিল ‘চোর ধর, জেল ভর’ স্লোগান। তাঁর দাবি, সেই স্লোগান লেখা ব্যানার খুলে নিতে বলেছে পুলিশ। বান নেতার এই দাবি সামনে আসার পর কুণাল বলেন, ‘পুজোর সময় প্ররোচণামূলক ব্যানার কেন লাগানো হবে। আমরা তো সিপিএমকে বলি গণহত্যার নায়ক। পুজোর সময় কি সেসব টাঙিয়ে রাখব?’
বামেদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানাতে গিয়ে কুণাল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও জ্যোতি বসুর প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তিনি উল্লেখ করেন, বুদ্ধবাবু বলেছিলেন ‘চোরেদের মন্ত্রিসভা’, সে সব কথা পুজোর সময় সামনে আনাল প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তিনি। কুণালের আরও দাবি, একসময় জাগো বাংলার স্টল ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, সেটা তৃণমূল ভোলেনি।
তৃণমূল নেতা মনে করেন, যে বামেরা পুজোয় বিশ্বাস করে না, ভিড় টানতে তারাই পুজোর সময় বইয়ের স্টল দেন। তা না করে, প্রতি রবিবার স্টল দেওয়ার পরামর্শ দেন কুণাল ঘোষ। আর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যখন তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাম নেতারা। তখন কুণালের দাবি, প্ররোচণা মূলক কাজ দেখলে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিতেই পারে।
উল্লেখ্য, অষ্টমীর সন্ধ্যায় প্রতিবাদ সভা চালাকালীন বাম নেতাদের আটক করা হয়। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।