কলকাতা: ভোটের আগে দুই তৃণমূল নেতার দ্বন্দ্ব চরম সীমায় পৌঁছেছে। এবার সরাসরি সাংসদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সারদা-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর ভুবনেশ্বরে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, সেই সময় হাসপাতালের বিল মিটিয়েছিল কে? এই বিষয় খতিয়ে দেখতে ইডি ও সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানো প্রয়োজন বলেও মনে করেন কুণাল। শুক্রবারই দলের একাধিক পদে ইস্তফা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তখনই প্রকাশ্যে এসেছে কুণাল-সুদীপ দ্বন্দ্ব।
কুণালের দাবি, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা উচিত। এক্স মাধ্যমে পোস্ট করে কুণাল প্রশ্ন তুলেছেন, হাসপাতালের টাকা কে মেটাল? তা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। তৃণমূল নেতার অভিযোগ, হাসপাতালের বিপুল খরচ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন কি না অন্য কেউ, তা তদন্ত করে দেখা দরকার। কুণালের দাবি, অভিযোগ সত্যি বলে প্রমাণিত হলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করতে হবে। কয়লা-দুর্নীতির সঙ্গে সুদীপের যোগ থাকতে পারে, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন কুণাল। তদন্তকারী সংস্থা এই তদন্তে উৎসা না দেখালে আদালতে যাবেন বলেও দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। গত কয়েকদিন ধরেই এক্স মাধ্যমে একের পর এক পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ।
.@dir_ed @CBIHeadquarters
The bank accounts of Sudip Banerjee, MP and payments on behalf of him to Apollo, Bhubaneswar must be investigated.
When he was in custody, whether a large amount paid to him or paid to hospital on behalf of him or not, that should be probed. If it is…— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 2, 2024
তবে তৃণমূলের অন্দরের এই দ্বন্দ্বকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূলের সাফল্য ব্যর্থতা, উচ্ছ্বাস- ঘৃণা, প্রেম- বিচ্ছেদ নিয়ে মানুষের কোনও উৎসাহ নেই। রাজতন্ত্র যখন শেষ হয়, তখন এমনই হয়। তৃণমূলেরও শেষের সময় হয়ে এসেছে।”
এদিকে, সুদীপের বিরুদ্ধে কুণাল যে অভিযোগ তুলেছেন, সেই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এরকম অনেক লোক আছে। সবার নাম উনি বলতে পারবেন না। গোটা দলটা অপরাধীদের কারখানা।” সুদীপের স্ত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।