কলকাতা: চাকরি ঠেকাতে মামলা করে অহেতুক জটিলতা তৈরি করা হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকেই তোলা হয়েছে বিপুল টাকা। তারপর করা হয়েছে একের পর এক মামলা। আটকে গিয়েছে চাকরি। এদিনই এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। একেবারে হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশট সামনে এনে শূলে চড়ালেন বিরোধীদের। সাফ বললেন, “সরকার চাইছে চাকরি দিতে, আর মামলা করা হচ্ছে যাতে চাকরি আটকে যায়, জটিলতা তৈরি হয়। একাংশের আইনজীবী যাঁরা মূলত বিরোধী শিবিরের তাঁরাই এই কাজ করে অগুণতি টাকা সংগ্রহ করছেন। একাধিক গ্রুপ থেকে এই অভিযোগ এসেছিল।”
তবে এদিন সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই নিট, নেট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তুলোধনা করেন কুণাল। তারপরই একহাত নান বাংলার বিরোধীদের। বলেন, “নিট, এবং নেট দুটোই দুর্নীতির ঘূর্ণাবর্তে পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত করতে চলেছে। পরীক্ষায় অনিময়, দুর্নীতি, টাকার খেলা, সব অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার চাকরি দিতে চেষ্টা করছে তখন কিছু লোকের ভুলে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই সমস্যা কাটিয়ে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চাকরি দেওয়ার চেষ্টা করছে তখন বিরোধী দলগুলির তরফ থেকে নানারকম মামলা করে জটিলতা তৈরি করা হচ্ছিল। এখন একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাট সামনে এসেছে। মামলা করে জটিলতা তৈরি করার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে, আগে আমরা এই অভিযোগ পেয়েছিলাম চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে।”
শিক্ষা সংক্রান্ত চাকরি মামলা দেখিয়ে কিছু ব্যক্তি বিপুল টাকা তুলছেন বলে অভিযোগ। একটি গ্রুপের পোস্টে তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। এসব কথা আগেও কানে এসেছে। বহু সংখ্যক কর্মপ্রার্থীর কাছ থেকে মামলার নামে বিপুল টাকা তোলার কথাগুলি সত্য কিনা জানতে তদন্ত হোক। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জেরা দরকার। pic.twitter.com/t4W8Ry4HEj
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) June 20, 2024
প্রসঙ্গত, এদিন সকালে এ বিষয়ে একটি টুইটও করতে দেখা যায় কুণালকে। কুণালের দাবি, ‘২০১৪ বঞ্চিত টেট পাশ হাওড়া বলে একটা গ্রুপ রয়েছে। সেখানে এক আইনজীবীর নাম করে লেখা হয়েছে, আমি তাঁর কাছে গিয়েছিলাম। সে বলছে ২৫ হাজার টাকা দাও হয়ে যাবে। আর একজন বলছে, সেই আইনজীবী আমার কাছ থেকে চল্লিশ নিয়ছিল মনে হচ্ছে পুরোটাই জলে গেল।’ কুণালের দাবি, এখানেই ফিরদৌস বলে একজনের নাম রয়েছে। তিনি বলেন, “এই ফিরদৌস যে কেউ হতে পারেন। অনেকে এই নামে থাকতে পারেন। কে এই ফিরদৌস? আমি নির্দিষ্টভাবে কোনও ফিরদৌসকে বলছি না। বা যাঁরা যার মতো ভেবে নেবেন। কিন্তু আমরা তদন্ত চাই। এই গ্রুপ, আগের অভিযোগ থেকে প্রমাণিত হয় চাকরির জটিলতা তৈরির জন্য যে মামলা হয়েছে তা করতে গিয়ে কিছু আইনজীবী বিপুল টাকা তুলেছেন। এটা একটা মামলা কেলাঙ্কারি।”