কলকাতা: কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) মামলায় ফের টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য সামনে আনল ইডি (ED)। তৃণমূল (TMC) যুবনেতার অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা কোথায় গেল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। অন্যদিকে, কুন্তলের আইনজীবীর দাবি, আসলে কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। দিনের পর দিন নাকি গল্প সাজাচ্ছে ইডি। শুক্রবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি-র বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। এদিন দু পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে হঠাৎই উঠে দাঁড়ান কুন্তল ঘোষ। বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি কিছু বলতে চাই হুজুর।’
কুন্তল আরও বলেন, ‘সব কিছুর মধ্যেই একটা পর্দা দেওয়ার চেষ্টা করছে ইডি। ডায়েরিটা যে উদ্ধার হয়েছে…’. তখন বিচারক তাঁকে মাঝপথে থামিয়ে বলেন, ‘আপনি শিক্ষিত মানুষ। এখানে শুনানি হচ্ছে। যা বলার অ্যাডভোকেটকে বলুন।’ অ্যাডভোকেট শুনে নিয়ে বিচারককে জানান, ‘হুজুর তেমন কিছু নয়, তদন্ত হলে জানা যাবে।’
এদিন আদালতে বিস্ফোরক দাবি করা হয় ইডির তরফে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশে কিছু শিক্ষকদের যাদের চাকরি চলে গিয়েছে। পরে তাঁরা যাতে চাকরি ধরে রাখতে পারেন, সে জন্য হাইকোর্টে মামলা করতে সাহায্য করার কথা বলা হয়। সেই মামলা করার নামে কুন্তল ঘোষ শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা তোলার চেষ্টা করছিলেন বলে দাবি করে ইডি।
এছাড়া ইডির তরফে জানানো হয়, কুন্তল ঘোষের দুটো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৬ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। সেই টাকা কোথায় গেল? সেটার খোঁজ চালানো দরকার বলেও মন্তব্য করেন আইনজীবী। বলেন, ‘উনি তদন্ত সাহায্য করছেন না।’
কুন্তলের আইনজীবী এদিন বলেন, ‘তাপস মণ্ডল বলেছিলেন কুন্তল ঘোষকে ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। চার্জশিটেও ১৯ কোটির কথা উল্লেখ আছে। এদিকে ইডি সার্চ করার পর সেই পরিমান ৩০ কোটিতে পৌঁছয়।’
আইনজীবী পিন্টু কারারের দাবি, ১৪ দিন হেফাজতে ছিলেন কুন্তল, তাও তাঁর কাছ থেকে কিছুই উদ্ধার হয়নি। তাঁর কথায়, কিছু পাওয়া যায়নি তাও গল্প সাজিয়ে যাচ্ছে ইডি। পরিকল্পনা করে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয় কুন্তলের তরফে। কুন্তলের আইনজীবী বলেন, একের পর এক নতুন গল্প সাজিয়ে তাস খেলছে ইডি।
এদিন কুন্তল ঘোষকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকতে হবে কুন্তলকে। অন্যদিকে, তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে সিবিআই।