কলকাতা: মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে হতাশ কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষ। দিনকয়েক আগেই অবস্থান বিক্ষোভে ইতি টেনেছেন তাঁরা। মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে ছিল কুড়মিদের বৈঠক। সেই বৈঠকে তাঁদের মূল দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা হলেও বৈঠক সফল নয় বলে মন্তব্য করেছেন কুড়মি সমাজের নেতা রাজেশ মাহাতো। বৈঠকের ফলাফল হতাশাজনক বলে উল্লেখ করে তিনি জানান, আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রক সিআরআই রিপোর্টের যে জাস্টিফিকেশন চেয়েছে তা রাজ্য সরকার দেয়নি। আলোচনা করে তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবে বলেও মন্তব্য করেছেন রাজেশ মাহাতো।
২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের কাছ থেকে যে সিআরআই রিপোর্ট গিয়েছিল কেন্দ্রে, তার পরের জাস্টিফিকেশন রিপোর্ট পাঠাতে বললেও ২০১৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত তা রাজ্য সরকার পাঠায়নি বলে অভিযোগ। ২০২২ সালে আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রক আরও একবার রিমাইন্ডার দিলেও পুরনো রিপোর্টটাই পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ কুড়মিদের।
এই কুড়মি সমাজের দুটি ভাগ রয়েছে। একটি হল, পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজ আর অপরটি হল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। এদিন পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের নেতা রাজেশ মাহাত নবান্নে এসেছিলেন। মূলত এসটি বা তপশিলি উপজাতিভুক্ত করতে হবে – এটাই কুড়মিদের দাবি। আগে তাঁরা প্রিমিটিভ ট্রাইবের অন্তর্গত ছিলেন। এরকম ১৩টি আদিবাসী সম্প্রদায় ছিল। যার মধ্যে ১২টিকে এসটি কোটার অর্ন্তভুক্ত করা হলেও বাদ পড়ে যান কুড়মিরা। বর্তমানে তাঁরা ওবিসি হিসেবে চিহ্নিত হন। এছাড়াও, সারনা ধর্মকে স্বীকৃতি দেওয়া, কুড়মালি-কে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অর্ন্তভুক্ত করার দাবিও জানানো হয়েছে কুড়মিদের তরফে। সম্প্রতি সড়ক ও রেল অবরোধ একটানা ৫ দিন বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।