কলকাতা: দাপট বাড়ছে বর্ষা। তবে বলা ভাল তা শুধুই উত্তরবঙ্গের জন্য। ইতিমধ্যে তিনটি জেলায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। তবে দক্ষিণবঙ্গের ভাগ্যে শুধুই রয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভবনা নেই।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ থেকে শুরু করে ৩০ জুন পর্যন্ত জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং-য়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। ৩০ তারিখের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে উত্তরবঙ্গে।
তবে দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। যেহেতু বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে তাই আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। আবহাওয়া অফিস মনে করছে ৩০ তারিখের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে।
বস্তুত, অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের নীচু জেলাগুলিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবার নতুন করে বৃষ্টির দাপট বাড়ার খবরে ইতিমধ্যেই মাথায় হাত দিতে শুরু করেছেন কৃষকরা। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে আগামী তিন দিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। ২৯ তারিখ পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ৩০ তারিখের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলে জানা যাচ্ছে।
বন্যায় বিধস্ত উত্তরবঙ্গ। বৃষ্টির কারণে দুর্বিসহ অবস্থা ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাবাসীদের অভিযোগ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তা সম্প্রসারণ করার সময় ড্রেনের ব্যবস্থা ভালো করেনি। আর তার ফলেই জল ঢুকে যাচ্ছে বসতি এলাকায়। এরফলেই প্রাণ ওষ্ঠাগত এলাকার বাসিন্দাদের। বিক্ষোভের জেরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে আসে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। যদিও তারপরেও ওঠেনি অবরোধ।