কলকাতা: পোস্ট অফিসে ৫ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। ইডি-র র্য়াডারে রামচন্দ্রপুর পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার লক্ষ্মণ হেমব্রম। লক্ষ্মণের বাড়িতে ১২ ঘণ্টা তল্লাশি চলে। তারপরই তাঁকে তলব করা হয়। এই অভিযোগেই ২০১৯ সালে লক্ষ্মণ হেমব্রমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীকালে তিনি জামিন পেয়ে যান। মানিট্রেলের হদিশ করতে পারেননি তদন্তকারীরা। তারপরই তদন্ত শুরু করে ইডি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, লক্ষ্মণ হেমব্রম ছাড়াও এই দুর্নীতির টাকা আরও অনেকের কাছে পৌঁছেছে। সেই তালিকা বার করতেই মরিয়া তদন্তকারীরা।
লক্ষ্মণ হেমব্রমের বক্তব্য, “পোস্টার বিভাগের তরফে একটা অভিযোগ ছিল, টাকা পয়সা তছরুপ হয়েছে বলা হয়েছে। চার বছর যখন সার্ভিসে ছিলাম, যখন অডিট হল, তখন কোনও ফল বেরোয়নি। যখন আমি আমার বদলি হল, তখনই দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এল, এটা কীভাবে সম্ভব?”
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ময়নার রামচন্দ্রপুর পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার ছিলেন পাঁশকুড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মণ হেমব্রম। সেই পোস্ট অফিসে থাকাকালীন প্রায় ৫ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ আসে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপর তাঁর বদলি হয়ে যায় কোলাঘাটের নতুন বাজার পোস্ট অফিসে। ২০১৯ সালে তাঁকে সেখান থেকেও সাসপেন্ড করা হয়।
আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ২০২০ সালে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর তিনি জামিন পান। কিন্তু এই দুর্নীতির মানিট্রেলের কোনও হদিশ পায়নি রাজ্য পুলিশ। এরপর তদন্ত শুরু করে ইডি। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ১২ ঘণ্টা ধরে লক্ষ্মণ হেমব্রমের বাড়িতে চলে তল্লাশি। শুক্রবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়।