কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় ইডি আধিকারিকদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে এবার সরাসরি অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি মন্তব্য করেন, আমি জানতে পেরেছি, ইডি-র কয়েকজন অফিসারের কাজে অনীহা আছে। ইডি-র আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তাঁদের সতর্ক হতে বলুন। ভুলে যাবেন না, আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে।’
এ কথা যে এমনি বলছেন না সেটাও বুঝিয়ে দেন বিচারপতি সিনহা। আদালত কক্ষে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বলছি। এরপরই বিচারপতি ইডি অফিসারদের কাছে জানতে চান নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় প্রশ্ন করেন, সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না। যদি না করা হয়, তবে কেন করা হয়নি? এই প্রশ্নও করেন বিচারপতি। জানতে চান জিজ্ঞাসাবাদে কোনও বাধা আছে কি না।
বুধবার আদালতে জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত ইডি ১৪৮ কোটি টাকার সম্পত্তি এবং সিবিআই ১৩ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার মোট সাড়ে ৭ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
বিচারপতি জানান, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা তাঁর জানা আছে। তবে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘ওই সম্পত্তির টাকার উৎস কী? সেটা কি জেনেছেন?’ এই প্রশ্নের উত্তরে ইডি জানায়, তদন্তের ওই অংশ সিবিআই দেখছে। এরপর সিবিআই-এর আইনজীবী সিল করা খামে রিপোর্ট জমা দেয় আদালতে। সিবিআই জানিয়েছে, একজনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে যে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছে , তবে অন্য একজনের হয়ে টাকা তোলা হয়েছে।
অন্যদিকে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার ফল কী হল, তা নিয়ে কী অগ্রগতি হয়েছে, সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি। রাজ্যের রিপোর্ট এখনও না আসায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি সিনহা। আগামী ৩০ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।