কলকাতা: গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল বন দফতর। সেই অনুযায়ী চলছিল তল্লাশি। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে চলছিল অভিযান। বেশ কয়েকজনকে যুবককে ধরে তাদের ব্যাগে তল্লাশি চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ বন দফতরের আধিকারিকদের। ব্যাগ থেকে বেরিয়ে এল আস্ত চিতাবাঘের চামড়া। ওই চামড়া নিয়ে যুবকেরা কেন এল মধ্যমগ্রামে? কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? তা জানতে ওই তিন যুবককে আটক করা হয় রবিবারই। জানা গিয়েছে, পাচারের উদ্দেশেই ওই চামড়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ৮ লক্ষ টাকায় চামড়া বিক্রি করার কথা ছিল বলেও জানতে পেরেছে বন দফতর।
তিন যুবককে গ্রেফতার করে আদতে আন্তঃরাজ্য বাঘের ছাল পাচার চক্রের পর্দা ফাঁস করেছে বন দফতর। এভাবেই এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পশুর ছাল পাচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার চক্র চলে বলেও মনে করা হচ্ছে। তিনজনকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ধৃতরা সকলেই ওড়িশার বাসিন্দা। বন দফতর সূত্রে খবর, ওড়িশার কালাহান্ডি-বউধ এলাকার শিকারীদের কাছ থেকে ওই ছাল সংগ্রহ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, এভাবে পশুর চামড়া পাচার হওয়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। এইভাবে বন্যপ্রাণীর চামড়া পাচার করা বেআইনি। তা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। শুধুমাত্র ভারতে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এমন পাচারের ঘটনা বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। গত সেপ্টেম্বরে এই একই অপরাধে ওড়িশার এক ব্যক্তিকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।