Year Ender 2022 : মাল নদীতে বানভাসি ৮ প্রাণ, আজও বাজছে বিসর্জনের রাতের সেই বিষাদের সুর

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 31, 2022 | 2:43 PM

Year Ender 2022 : দশমীর বিষাদে মিশেছিলে মাল নদীতে ডুবতে থাকা মানুষের আর্ত চিৎকার, ফিরে দেখা বিসর্জনের রাতের সেই দুর্বিষহ স্মৃতি।

1 / 7
বছরের শুরুতেই উত্তরবঙ্গের North Bengal) ময়ানাগুড়িতে বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী ছিল বাংলা। মারা গিয়েছিলেন বহু মানুষ, আহত হয়েছিলেন অনেকে। সেই বিষাদের মেঘ কাটতে না কাটতে দুর্গপুজোয় বড়সড় বিপর্যয় দেখতে পাওয়া গিয়েছিল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মাল নদীতে।

বছরের শুরুতেই উত্তরবঙ্গের North Bengal) ময়ানাগুড়িতে বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী ছিল বাংলা। মারা গিয়েছিলেন বহু মানুষ, আহত হয়েছিলেন অনেকে। সেই বিষাদের মেঘ কাটতে না কাটতে দুর্গপুজোয় বড়সড় বিপর্যয় দেখতে পাওয়া গিয়েছিল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মাল নদীতে।

2 / 7
দশমীর দিন মালবাজারের মাল নদীতে (Mal River) দশমীর বিসর্জনের দিন হড়পা বানে মারা যান ৮ জন। প্রতি বছর ডুয়ার্সের মালবাজার শহরের পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন চা বাগান এলাকা থেকে পুজো উদ্যোক্তারা তাঁদের প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসেন এই মাল নদীতে। এবারও দেখা গিয়েছিল সেই চেনা ছবি। কিন্তু, কে জানত উমা বিদায়ের ওই দিনেই ঘটে যাবে এত বড় বিপর্যয়!

দশমীর দিন মালবাজারের মাল নদীতে (Mal River) দশমীর বিসর্জনের দিন হড়পা বানে মারা যান ৮ জন। প্রতি বছর ডুয়ার্সের মালবাজার শহরের পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন চা বাগান এলাকা থেকে পুজো উদ্যোক্তারা তাঁদের প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসেন এই মাল নদীতে। এবারও দেখা গিয়েছিল সেই চেনা ছবি। কিন্তু, কে জানত উমা বিদায়ের ওই দিনেই ঘটে যাবে এত বড় বিপর্যয়!

3 / 7
 সূত্রের খবর, দশমীর দিন বিসর্জন দেখতে ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৬-৮ হাজার মানুষ এসেছিলেন বিসর্জন ঘাটে। সন্ধ্যা নাগাদ আচকা আসে হড়পা বান। তাতে ভেসে যান বহু মানুষ। অনেককে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও তলিয়ে যান অনেকেই। ছুটে আসে দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা।

সূত্রের খবর, দশমীর দিন বিসর্জন দেখতে ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৬-৮ হাজার মানুষ এসেছিলেন বিসর্জন ঘাটে। সন্ধ্যা নাগাদ আচকা আসে হড়পা বান। তাতে ভেসে যান বহু মানুষ। অনেককে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও তলিয়ে যান অনেকেই। ছুটে আসে দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা।

4 / 7
এ ঘটনার পরেই বিসর্জন ঘাটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আঙুল ওঠে প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে। ডুয়ার্সের নদীগুলিতে হড়পা বান চেনা ছবি। অভিযোগ, বিসর্জনের সময় নদীর ধারে সিভিল ডিফেন্সের মাত্র আটজন কর্মী ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে শুধু কিছু দড়ি ছিল। যার ফলে নদীতে মানুষ তলিয়ে গেলেও তৎক্ষণাৎ কিছু করতে পারেননি তাঁরা। অভিযোগ এমনটাই।

এ ঘটনার পরেই বিসর্জন ঘাটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আঙুল ওঠে প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে। ডুয়ার্সের নদীগুলিতে হড়পা বান চেনা ছবি। অভিযোগ, বিসর্জনের সময় নদীর ধারে সিভিল ডিফেন্সের মাত্র আটজন কর্মী ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে শুধু কিছু দড়ি ছিল। যার ফলে নদীতে মানুষ তলিয়ে গেলেও তৎক্ষণাৎ কিছু করতে পারেননি তাঁরা। অভিযোগ এমনটাই।

5 / 7
এ দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষ জলে তলিয়ে গেলেও বরাত জোরে রক্ষা পেয়ে যান অনেকে। দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দলেক পাশাপাশি উদ্ধারকাজে হাত লাগাতে দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। হড়পা বানে জলে ডুবতে থাকা ১০ জনকে একাই বাঁচিয়ে গোটা রাজ্যের মন জিতে নেন এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ মানিক। উঠে আসেন খবরের শিরোনামে।

এ দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষ জলে তলিয়ে গেলেও বরাত জোরে রক্ষা পেয়ে যান অনেকে। দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দলেক পাশাপাশি উদ্ধারকাজে হাত লাগাতে দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। হড়পা বানে জলে ডুবতে থাকা ১০ জনকে একাই বাঁচিয়ে গোটা রাজ্যের মন জিতে নেন এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ মানিক। উঠে আসেন খবরের শিরোনামে।

6 / 7
ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের পাশে দাঁড়ায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিপর্যয়ের জেরে এবারে ছট পুজোর আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মাল নদীতে।

ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের পাশে দাঁড়ায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিপর্যয়ের জেরে এবারে ছট পুজোর আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মাল নদীতে।

7 / 7
তবে এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন বিস্তর চাপানউতর চলেছিল বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে টুইট করেছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু ‘ শকুনের রাজনীতি’ করছেন বলেও তোপ দেগেছিলেন কুণাল।

তবে এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন বিস্তর চাপানউতর চলেছিল বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে টুইট করেছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু ‘ শকুনের রাজনীতি’ করছেন বলেও তোপ দেগেছিলেন কুণাল।

Next Photo Gallery