কলকাতা: বিধায়ক পদ ছাড়ার জন্য গত সোমবার মুকুল রায়কে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে তারপর ৩ দিন কেটে গেলেও মুকুল পদত্যাগ করেননি। বিজেপির পক্ষ থেকেও এর মধ্যে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দেওয়ার প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন নিয়ে বিধানসভায় যান শুভেন্দু। কিন্তু, দিনের শেষে বিফল মনোরথ হয়ে ফিরতে হয় বিরোধী দলনেতাকে।
সূত্রের খবর, বিজেপি-ত্যাগী মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে এ দিন বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে চিঠি দিতে যান শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু যে সময় তিনি বিধানসভায় যান, তখন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন না। তাই তাঁর হাতে চিঠি তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। সাধারণত অধ্যক্ষ উপস্থিত না থাকলে রিসিভিং বিভাগের কোনও কর্মী ওই চিঠি গ্রহণ করেন। কিন্তু, সেই বিভাগেও এ দিন কেউ ছিলেন না বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। যে কারণে তিনি দলত্যাগ বিরোধী আইনের চিঠি দিতে গেলেও তা দিয়ে উঠতে পারেননি। কারণ নেওয়ার জন্য কেউ ছিলেন না।
বিজেপি সূত্রে খবর, আগামিকাল, অর্থাৎ শুক্রবারও ফের একবার মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে এই চিঠি দিতে বিধানসভায় যাবেন বিরোধী দলনেতা। ফলে আগামিকাল অধ্যক্ষ সেই চিঠি নেন কি না সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন: বিধানসভার কমিটি গঠন নিয়ে পার্থ-শুভেন্দুর ফোনালাপ, বিজেপি চাইছে ১৫ টি, ছাড়তে নারাজ তৃণমূল
প্রসঙ্গত, মুকুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। তবে এ ক্ষেত্রে মনে করিয়ে দেওয়া যায়, এই আইন প্রয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার স্পিকারের হাতেই দিয়ে রেখেছে সংবিধান। তিনি কতদিনের মধ্যে এই আইন প্রয়োগ করবেন, সেই নিয়েও কোনও নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: মুকুল রায়কে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ‘শাস্তি’ দিতে পারেন শুভেন্দু? কী বলছে সংবিধান…