বিধানসভার কমিটি গঠন নিয়ে পার্থ-শুভেন্দুর ফোনালাপ, বিজেপি চাইছে ১৫ টি, ছাড়তে নারাজ তৃণমূল

বিধানসভার মোট ৪১ কমিটির মধ্যে বিজেপি কতগুলি কমিটি পাবে, এবং তৃণমূলের হাতে কতগুলি কমিটি থাকবে, সেই নিয়েই আলোচনা হয়েছে দুই নেতার।

বিধানসভার কমিটি গঠন নিয়ে পার্থ-শুভেন্দুর ফোনালাপ, বিজেপি চাইছে ১৫ টি, ছাড়তে নারাজ তৃণমূল
অলংকরণ- অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: Jun 17, 2021 | 4:58 PM

কলকাতা: বিধানসভায় কমিটি গঠন এবং তার বণ্টন নিয়ে লক্ষ্মীবারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, দু’জনের মধ্যে এ দিন বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। যেহেতু শুভেন্দু বিরোধী দলনেতা, সেই কারণে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থবাবুর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বিধানসভার মোট ৪১ কমিটির মধ্যে বিজেপি কতগুলি কমিটি পাবে, এবং তৃণমূলের হাতে কতগুলি কমিটি থাকবে, সেই নিয়েই আলোচনা হয়েছে দুই নেতার।

সূত্রের খবর, মোট ৪১ টি কমিটির মধ্যে শুভেন্দুদের ৯ থেকে বড়জোড় ১১ টি কমিটি ছাড়তে রাজি শাসকদল। কিন্তু বিজেপি তাতে সন্তুষ্ট নয়। শুভেন্দু চাইছেন, বিজেপিকে যেন কমপক্ষে বিধানসভার ১৫ টি কমিটি ছাড়া হয়। কিন্তু তৃণমূল এখন এতগুলি কমিটি বিরোধীদের হাতে তুলে দিতে রাজি হচ্ছে না। সেই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা হয় পার্থ শুভেন্দুর। যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সমগ্র বিষয়টি নিয়েই আলোচনা চলছে। তৃণমূল নেতৃত্ব নিজেদের অন্দরেও আলোচনা চালাচ্ছেন। কথাবার্তা বলছে বিজেপিও।

কিন্তু এরই মধ্যে সময় গড়িয়ে চলেছে। অন্যদিকে, কমিটি গঠন না হওয়ার কারণে এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বিধায়করা যে পরিমাণ ভাতা পান, সেটাও আটকে থাকছে। শাসকদলের বক্তব্য, বিজেপির তরফ থেকে নাম না আসার কারণেই এখনও পর্যন্ত কমিটিগুলি গঠন করা যাচ্ছে না। এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন পার্থ ও শুভেন্দু।

আরও পড়ুন: বিধানসভায় বড় দায়িত্ব থাকছে বিজেপির হাতে, ৪১-এর মধ্যে ১০ টি কমিটি পাচ্ছেন শুভেন্দুরা

অন্যদিকে, বিধানসভায় মোট ৪১ টি কমিটির মধ্যে ১৫ টি কমিটি দাবির সমর্থনে গতবারের উদাহরণ টেনে এনেছে বিজেপি। ২০১৬-২০২১ সালের বিধানসভায় বিরোধীদের ৭৭ টি আসন ছিল। তাদের ১৫ টি কমিটি দেওয়া হয়েছিল। এ বারও বিজেপি ৭৭ টি আসনেই জয়লাভ করেছে, তবে তাদের কেন ১৫ টি কমিটি দেওয়া হবে না? এই নিয়ে শাসকদলের পালটা যুক্তি, গতবার বিরোধীদের ৭৭ টি আসনের মধ্যে অনেকগুলি দল ছিল। তাই সবকটি দলকে অংশীদার করা প্রয়োজন ছিল। এ বারের পরিস্থিতি তেমন নয়। তাই অতগুলি কমিটি দেওয়ারও প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুন: একর প্রতি ১০ হাজার, ‘কৃষক বন্ধু’ ঘোষণা করে মমতা বললেন ‘কথা রাখলাম’