কলকাতা: বেলঘরিয়ায় বিজয়া সম্মিলনীর এক অনুষ্ঠানে কামারহাটির তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক মদন মিত্রর (Madan Mitra) মন্তব্য ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ওই অনুষ্ঠান থেকে মদন বাবু বলেছেন, “কালীপুজোর পরে একটি ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে আসছে। তাকে মোকাবিলা করতে হবে।” যদিও কোন ষড়যন্ত্রের কথা তিনি বলছেন, সেই বিষয়ে কিছু খোলসা করেননি তিনি। আর মদন বাবুর এই মন্তব্যের পরই জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ কামারহাটির বিধায়ককে খোঁচা দিয়ে বলেন, “উনি জ্যোতিষচর্চা করছেন বোধ হয়। কীসের ষড়যন্ত্র? ওদের পার্টির মধ্যে এত রকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে পরস্পরের বিরুদ্ধে, আর বাইরের ষড়যন্ত্রের দরকার নেই।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য মদন মিত্রর বক্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। জানিয়ে দেন, “উনি অনেক কথাই বলেন, সেই কথার কী মূল্য আছে?” আবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও একহাত নিয়েছেন মদন বাবুকে। তিনি বলেন, “মদনদার বিভিন্ন কথার উত্তর দেওয়া খুব কঠিন। উনি কখন বলেছেন এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাত আটটার পর মদন মিত্র বললে, আমরা গ্রাহ্য করি না।”
সুকান্ত মজুমদারের এই খোঁচার আবার পাল্টা দিয়েছেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, “সুকান্ত শান্তশিষ্ট লেজবিশিষ্ট বলে জানতাম। এখন দেখছি দুষ্টুও। বুকে পা দিলে আমরা তলপেট কিংবা কানের গোড়ায় পা তুলতেও পারি। আটটার আগেই বলছি কিন্তু।” সুকান্ত মজুমদার রাত আটটার পর মদন বাবুর বক্তব্য নিয়ে যে খোঁচা দিয়েছিলেন, এবার পাল্টা হুঁশিয়ারির কথা শোনালেন মদন মিত্রও।
প্রসঙ্গত, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। শুধু রাজনীতিই নয়, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাকটিভ কামারহাটির বিধায়ক। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে হাজির হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একসময়ে তাঁকে ‘কালারফুল ছেলে’ বলেছিলেন।