কলকাতা : বুধবার কলকাতায় ইন্টেরিয়র ডেকোরেটরদের সংগঠনের এক অনুষ্ঠান ছিল। আর সেখানে অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন মদন মিত্র। বাংলার রাজনীতিতে এক রঙিন চরিত্র মদন মিত্র। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেছিলেন, “মদন ইজ় আ কালারফুল বয়।” সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ রঙিন মদন বাবু। চোখে রঙ বেরঙের সানগ্লাস পরে, লাইভে আসেন। আর এমন রঙিন মানুষ যেখানে থাকবেন সেখানে অভিনব কিছু হবে না, তা কি হয়? এবার সাংবাদিকদের আবদার মেটাতে ওই ইন্টেরিয়র ডেকরেটার সংগঠনের অনুষ্ঠানে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কবিতা পাঠ করলেন মদন মিত্র।
মদন মিত্র বলেন, “আমার তো দেওয়ার কিছু নেই। আমি তো স্মল ম্যান। কিন্তু যখন এসেছি তখন একটা তো কিছু বলতেই হবে। পশ্চিমবঙ্গে একসময় রবীন্দ্রনাথের কাছে ল্যাপটপ বা কিছু ছিল না। তাতেই নোবেল হয়ে গিয়েছিল।” এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “মানি না” কবিতাটির পাঠ করেন তিনি, “মানি না, মানি না, মানি না… আমি মানি না… সাম্প্রদায়িকতার রঙ আমি বিশ্বাস করি না। আমি নবজাগরণের এক সহিষ্ণু সেবক, বাংলায় যার উত্থান। বিশ্বাস করি না সাময়িক উগ্র ধর্ম বিক্রি করতে।” কবিতা পাঠের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ভাবমূর্তি প্রসঙ্গে বলেন, “তিনি প্রথমটাই শুরু করছেন সাম্প্রদায়িকতার রঙ আমি বিশ্বাস করি না। সেটা রাজনীতিতেই হোক, বা পুরস্কারেই হোক, বা পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়াতেই হোক। কোনও জায়গাতেই সাম্প্রদায়িকতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বাস করেন না।”
উল্লেখ্য, দুই দিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর লেখা কবিতা বিতান বইটির জন্য বিশেষ পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের বইমেলায় জাগো বাংলার স্টল থেকে এই ‘কবিতা বিতান’ বইটির প্রথম প্রকাশ হয়। বইটিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ৯৪৬টি কবিতা রয়েছে। মদন মিত্র বলেন, “আমি মনে করি, এই কবিতার মধ্যে দিয়ে ২০২২ সালে বাংলার কণ্ঠকে সারা পৃথিবীর কাছে যিনি পৌঁছে দিয়েছেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”