কলকাতা: কেন্দ্রে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। আর তা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। গত দু-তিন দিনে বাংলার রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে তৃণমূলের দুই হেভিওয়েটের দ্বন্দ্বে। কিন্তু এবার কি সেই দ্বন্দ্বে ইতি পড়তে চলেছে? অন্তত তেমনটাই দাবি করছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের এখন মন্তব্য, একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। মদন মিত্র একটা ফোন করেছিলেন তাঁকে। তারপর সব মিটে গিয়েছে।
শুক্রবার হাইকোর্টের বাইরে দাঁড়িয়ে বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বলেন, “মদন কালকে আমাকে ফোন করেছিল। কথা হয়েছে। মদনের কোথাও একটা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছে। সেই ভিত্তিতে হয়তো ও বলেছিল। আমাদের দু’জনের ব্যাপার, এখন সেটা মিটেও গিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, মদন কল্যাণের বিবাদের সূত্রপাত হয়েছিল তৃণাঙ্কুরকে নিয়ে। থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ডাক্তারি পড়ুয়াদের পাশে না দাঁড়ানোর অভিযোগ তুলে তৃণাঙ্কুরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ভরা মঞ্চ থেকে তাঁর নাম করে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধান মুখ খুলেছিলেন তৃণাঙ্কুর। তাঁর বক্তব্য ছিল, কল্যাণ তাঁর রাজনৈতিক জীবনের একেবার অন্তিম লগ্নে এসে পৌঁছেছেন। কিন্তু এই বিবাদের মধ্যে জড়িয়ে পড়েন মদন মিত্রও। TV9 বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মদন মিত্র কল্যাণের উদ্দেশে বেনজির আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, “ভাট বকে। জীবনে মামলা জিততে পারে না। সব কেস ঘেঁটে দেয়।” আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, ‘কে কল্যাণ? খায় না মাথায় দেয়?’ তাতে তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতার এহেন দ্বন্দ্বের রাজনৈতিক চর্চা ওঠে তুঙ্গে। কিন্তু এদিন কল্যাণের কথায় এই দ্বন্দ্বের আভাস মিলল।