কলকাতা: শুক্রবারের পর শনিবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেল মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র। পরীক্ষা শুরুর ৪৫ মিনিটের মধ্যেই বেরিয়ে যায় প্রশ্ন। পরীক্ষা শুরু হয়েছে ৯টা ৪৫ নাগাদ। ১১ টা থেকে থেকে সাড়ে এগারোটা মধ্যে প্রশ্ন বেরিয়ে যাওয়ার কথা পর্ষদ জানতে পারে। যা নিয়ে কার্যত ক্ষুব্ধ পর্ষদ। এরপরই এগারো জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করল বোর্ড। এরা সকলেই মালদহের। এই পড়ুয়াদের প্রতিটি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এরাই এই প্রশ্নপত্র বের করে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে বোর্ডকে বিপদে ফেলার জন্য এটা করা হচ্ছে।”
গতকালের প্রশ্ন ‘ফাঁস’ হওয়ার পর দুজনের পরীক্ষা বাতিল করে পর্ষদ। মূলত, কিউ আর কোড দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু এ দিন দেখা গেল, সেই কিউ আর কোডগুলি লাল কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয় নিয়েও মুখ খোলেন পর্ষদ সভাপতি। বলেন, “এই পরীক্ষাকে বিঘ্নিত করতে চাইছে কেউ-কেউ। আমরা চেষ্টা করছি যাতে সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা হয়। বোর্ডকে বিপদে ফেলার জন্য এটা করা হচ্ছে। আমার কাছে প্রমাণ আছে এরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে পরীক্ষাকে বিঘ্নিত করার জন্য করছেন। এটা শুধুমাত্র কয়েকজন দুষ্টু ছেলে করছে তা নয়, এটা একটা চক্রান্ত।”
রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেছেন, কারোর পরীক্ষা বাতিল করে কোনও আনন্দ নেই। বোর্ড চায় না এই পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হোক। কিন্তু এটা চক্রান্ত। অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীদের আধঘণ্টার মধ্যে এদের লোকেট করা গিয়েছে বলে জানান পর্ষদ সভাপতি। তিনি প্রশ্ন করছেন, “প্রশ্নপত্রে লাল কালি লাগানো হল কেন? আমাকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে? আমি ধরতে পারব কি না!”
এছাড়াও, এই এগারো জন ছাড়া আরও কয়েক জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। তার মধ্যে গয়েশ্বরী প্যারীভুবন শিক্ষা নিকেতন। ভগবানপুর কেবিএস হাইস্কুল। এই স্কুলের ৪ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। তালিকায় রয়েছে জলপাইগুড়ি আমবুড়ি রামমোহন হাইস্কুলের নামও। সেখানে একজনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। নাম রয়েছে বর্ধমানের শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যানিকেতন সেখানে কাটোয়া কাশীরামদাস স্কুলের। ১ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল। বোল্লা রাজকিশোরী হাইস্কুলের এক জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। মালদার পাঁচকড়িতলা হাইস্কুলের ১ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ পরীক্ষার হলে ফোন নিয়ে ঢুকেছিল। কেউ পরীক্ষার নিয়ম মানেনি বলে অভিযোগ।