কলকাতা: স্কুলের সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছিল এক ছাত্রী। আহত ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন খোদ শিক্ষকই। কিন্তু হাসপাতালে সেই শিক্ষককেই পড়তে হল ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের রোষের মুখে। শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ ওঠে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় মহেশতলায়। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী মহেশতলার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বাটানগর শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির স্কুলে পড়ে। বুধবার সকালে স্কুল ছুটির সময় সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আহত হয় দ্বিতীয় শ্রেণীর ওই ছাত্রী। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, ওই ছাত্রী আহত হওয়ার পর মিনিট সতেরো কেটে গেলেও কেউ হাসপাতলে নিয়ে যাননি।
অন্যদিকে, শিক্ষকের অভিযোগ আহত ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে মহেশতলার পৌর হাসপাতালে নিয়ে যান ওই স্কুলের শিক্ষক গৌতম পাল। এরপর তার পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে হাসপাতালে যান। অভিযোগ, কিছু না বুঝেশুনেই ওই শিক্ষককে হাসপাতাল থেকে বাটা মোড়ের কাছে নিয়ে গিয়ে মারধর করতে থাকেন আহত ছাত্রীর পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহেশতলা থানার পুলিশ। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। শিক্ষকের বক্তব্য, “আমিই কোলে হাসপাতালে নিয়ে এলাম। নার্স এল, ডাক্তার এসে চিকিৎসা শুরু করলেন। দুটো পায়ে ম্যাসাজ করতে বলেছিলেন। সেটা করতেই বাড়ির লোক আসে। তারপর এসে কিছু না বুঝেই মারধর করতে থাকেন।” বাড়ির লোকের বক্তব্য, “নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ছুটি দিয়ে দিয়েছে।বাড়ির লোক আগেই পৌঁছেছে। স্কুলে কোনও নিয়মকানন নেই। পড়ে যাওয়ার অনেকক্ষণ পর বাচ্চাটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।” কিন্তু এই কারণে এক শিক্ষককে এভাবে হেনস্থার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরাও।