Maheshtala SBI: লকার ভাঙা, টাঙিয়ে দেওয়া হল নোটিস, মহেশতলার SBI-র ব্রাঞ্চে ভয়ঙ্কর ঘটনা, ব্যাঙ্কের বাইরে বিপর্যস্ত গ্রাহকদের ভিড়

Maheshtala SBI: গত পরশু ছিল চতুর্থ শনিবার। ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। শুক্রবার নির্দিষ্ট সময়ে আর পাঁচ দিনের মতোই লকার রুমে তালা লাগিয়ে ব্যাঙ্ক বন্ধ করে যান নিরাপত্তা রক্ষী। দুদিন ছুটির পর সোমবার সকালে যখন ব্যাঙ্ক খুলতে আসেন, তিনিই প্রথম বিষয়টি লক্ষ্য করেন।

Maheshtala SBI: লকার ভাঙা, টাঙিয়ে দেওয়া হল নোটিস, মহেশতলার SBI-র ব্রাঞ্চে ভয়ঙ্কর ঘটনা, ব্যাঙ্কের বাইরে বিপর্যস্ত গ্রাহকদের ভিড়
মহেশতলা ব্যাঙ্কে 'ডাকাতি'Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 25, 2024 | 2:06 PM

কলকাতা:  আর পাঁচ দিনের মতো সকালে নিরাপত্তারক্ষী এসেছিলেন ব্যাঙ্কের শাটার খুলতে। ভিতরে ঢুকে দেখেন ব্যাঙ্কের লকার ভাঙা। গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে যায় তাঁর। তখনও ব্যাঙ্কের ম্যানেজার এসে পৌঁছননি। খবর পেয়েই দ্রুত আসেন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার-সহ অন্যান্য কর্মীরা। ব্যাঙ্কের লকার রুমের দরজা ভাঙা। খোয়া গিয়েছে সব কিছু। মহেশতলার বাটা মোড়ের এসবিআই ব্যাঙ্কে চুরি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহেশতলা  থানার পুলিশ। ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত পরশু ছিল চতুর্থ শনিবার। ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। শুক্রবার নির্দিষ্ট সময়ে আর পাঁচ দিনের মতোই লকার রুমে তালা লাগিয়ে ব্যাঙ্ক বন্ধ করে যান নিরাপত্তা রক্ষী। দুদিন ছুটির পর সোমবার সকালে যখন ব্যাঙ্ক খুলতে আসেন, তিনিই প্রথম বিষয়টি লক্ষ্য করেন। তখনও পর্যন্ত ম্যানেজার এসে পৌঁছননি। তারপর তিনি গিয়ে মহেশতলা থানায় খবর দেন।

পুলিশ গিয়ে তদন্ত করার ফাঁকেই খবর পেয়ে চলে আসেন গ্রাহকরা। কিন্তু তাঁদেরকে ব্যাঙ্কে ঢুকতে দেওয়া হয় না। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয় ব্যাঙ্কে ডাকাতি হয়েছে। ব্যাঙ্কের লকারের সম্পত্তি আদৌ সুরক্ষিত রয়েছে কিনা, তা জানতে চান গ্রাহকরা। কিন্তু অভিযোগ, সেটাও তাঁদের স্পষ্ট করে জানানো হয় না। তাতে ক্ষোভ আরও বাড়তে থাকে। ব্যাঙ্কের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রাহকরা।

ব্যাঙ্কের এক গ্রাহক বলেন, “প্রথমে ব্যাঙ্ক থেকে বলা হল, তদন্ত হবে, তারপর বলা হবে। এখন জানতি পারছি পাবলিক লকার সুরক্ষিত রয়েছে। নোটিস টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে আমরা একটু হলেও শান্তি পেলাম। কাল আবার ব্যাঙ্কে আসতে বলা হয়েছে। ফিঙ্গার প্রিন্ট চেক হবে। ব্যাঙ্কে আরও নিরাপত্তারক্ষী বাড়ানো উচিত। আজ কপালের জোরে পাবলিক লকারটা বেঁচে গিয়েছে, কাল নাও থাকতে পারে।” এখন ব্যাঙ্কে রয়েছেন পুলিশ সুপার। তদন্ত চলছে।