মেঘালয়: আবার মেঘালয়ে মমতা-অভিষেক। গত মাসেই তৃণমূল সুপ্রিমো সে রাজ্যে গিয়েছিলেন দলের ইস্তাহার প্রকাশ করতে। আর এবার সরাসরি প্রচারে। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ তুরায় এবার সভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মেঘালয়ের তুরা-কে গোটা দেশ চিনত পূর্ণ সাংমার নামে। এখনও তুরা লোকসভা কেন্দ্রে সাংমা পরিবারের দাপট অব্যাহত। এই তুরা লোকসভা কেন্দ্রের মধ্য়ে রয়েছে ২৪ টি বিধানসভা কেন্দ্র।
ঘনবসতিপূর্ণ এই তুরাতেই জনসভা করবেন মমতা। মেঘালয়ের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা দুজনেই এই তুরা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুই বিধানসভার বিধায়ক। তাই বলা যায়, মেঘালয়ের রাজনীতি অনেকাংশেই স্থির করে তুরা। পি সাংমা পরিবারের খাস তালুক তুরা থেকেই তাই রাজনৈতিক আঘাত হানতে চান মমতা ও অভিষেক।
ফেব্রুয়ারিতেই মেঘালয়ে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মেঘের রাজ্যে মুকুল সাংমার হাত ধরে ইতিমধ্যেই বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুর চড়া। আর সেই আবহেই মেঘের রাজ্যে সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখছে তৃণমূল। আগামী বুধবার মেঘালয়ের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন মমতা ও অভিষেক। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সম্প্রতি বলেছেন, ‘বাংলার পর মেঘালয় হতে চলেছে দ্বিতীয় রাজ্য, যেখানে তৃণমূল সরকার গড়বে।’
ইতিমধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ধাঁচে প্রকল্পও ঘোষণা হয়েছে মেঘালয়ে। তৃণমূল এই রাজ্যে আসন পাওয়া নিয়ে অন্য রাজ্যের চেয়ে একটু বেশি আশাবাদী। দলীয় সংগঠনের কাজ দেখছেন মানস ভুঁইয়া। এর আগে ত্রিপুরায় সুদীপ রায় বর্মণের ওপর ভরসা করে সংগঠন বিস্তার করেছিল তৃণমূল। তেমনই মুকুল সাংমার ওপর অতি নির্ভরশীলতা পরে কোনও সমস্যা তৈরি করবে নাতো? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ, সুদীপ রায় বর্মণকে নিয়ে তৃণমূলের স্মৃতি মোটেই সুখের নয়। উল্লেখ্য, সোমবারই বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে মেঘালয়ের রণ-নীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।