কলকাতা: দুই ঘণ্টা চল্লিশ মিনিট চল্লিশের বেশি সময় ধরে এদিন নবান্নে বৈঠক হল পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে এখনও রাজ্য বা কেন্দ্রের তরফে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, রেল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যান্য অব্যবহৃত জমির প্রসঙ্গটি রাজ্যের তরফে তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এর পাশাপাশি পাচার সমস্যা মোকাবিলায় রাজ্য পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দায়িত্ব সংক্রান্ত বিষয়টিও বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিকে অমিত শাহকে স্বাগত জানানোর সময়, মুখ্যমন্ত্রী কিছুক্ষণ কথা বলেন তাঁর সঙ্গে। সূত্রের খবর, সেই সময় ১০০ দিনের কাজের টাকার বিষয়েও কথা হয়েছে তাঁদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার পাচার সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে রাজ্য পুলিশের এক্তিয়ার এবং বিএসএফ-এর এক্তিয়ার নিয়ে দ্বন্দ্ব উঠে এসেছে। বিশেষ করে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক্তিয়ার সীমান্তের ভিতরে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করে দেওয়ার পর থেকে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের এই নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়েছিল। রাজ্যের তরফে আমলারা এদিনের বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিষয়টি নিয়ে সহমত পোষণ করেন বলে খবর।
এর পাশাপাশি রেলের বিভিন্ন অব্যবহৃত জমিগুলিকে রাজ্য সরকার কোনও গঠনমূলক কাজে ব্যবহার করতে পারে কি না, সেই বিষয়টিও উঠে এসেছে বৈঠকে। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। মূলত রেলের বিভিন্ন অব্যবহৃত জমিতে যেখানে বস্তি তৈরি হয়ে গিয়েছে, সেখানে গরিব মানুষদের পাট্টা দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেই বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে বলে খবর। শুধু রেলের জমিই নয়, রাজ্যের মধ্যে থাকা কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের অব্যবহৃত জমিও যাতে গঠনমূলক কাজে ব্যবহার করা যায় সেই বিষয়টিও বিবেচনা করার জন্য বলা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যখন অমিত শাহকে স্বাগত জানাচ্ছিলেন, সেই সময়েও রাজ্যের তরফে একশো দিনের কাজের টাকার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন বলে সূত্রের খবর।