কলকাতা: মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সাগরদিঘি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপনির্বাচনে ভরাডুবির জের। সংখ্যালঘু এলাকায় এবার বিশেষ নজর দিচ্ছে শাসক দল। দায়িত্বে রয়েছেন সিদিকুল্লা চৌধুরী, জাকির হুসেন, সাবিনা ইয়াসমিনরা। পর্যালোচনা করে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন। রাজ্যের কোথায় কোথায় কী ইস্যুতে ক্ষোভ, তা নিয়ে পর্যালোচনা করে রিপোর্ট করবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, ক্যাবিনেটের বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী ঘরোয়াভাবে উপনির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক মন্ত্রী জানিয়েছেন, সাগরদিঘি শব্দটা উচ্চারণ করেননি মমতা। তবে তাঁর কথায় উদ্বেগ সুর স্পষ্ট ছিল। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “সংখ্যালঘু ভোট আমাদের থেকে সরে যায়নি। আমরা ১২ বছরে সংখ্যালঘুদের জন্য অনেক কাজ করেছি। তাহলে এমন একটা ফলাফল হল কেন?” এটা তিনি দেখতে বলেছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সাবিনা ইয়াসমিন, জাকির হুসেন, ফিরহাদ হাকিম ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা সবাই সিনিয়র। আপনারা দেখুন কোথাও কোনও ক্ষোভ রয়েছে কিনা। রাজ্যজুড়েই বিষয়টা দেখুন।”
পাশাপাশি এই মন্ত্রিসভা বৈঠকেই ঠিক হয়েছে, মাদ্রাসা স্কুলগুলিতে সহকারি শিক্ষকের শূন্যপদ দ্রুত পূরণ করা হবে। উল্লেখ্য, আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি এই বিষয়টা নিয়ে রবিবারই প্রশ্ন তুলেছিলেন TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, মাদ্রাসা বোর্ডের স্কুলগুলিতে দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষক নিয়োগ হয়নি।
মন্ত্রিসভার এই বৈঠক নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল সে অর্থে কোনও রাজনৈতিক দল নয়। বাংলায় যে সরকারটা রয়েছে, সেটা পশ্চিমবঙ্গ সরকার নয়, তৃণমূল সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোনও ভোটের জয় পরাজয় নিয়ে কি আলোচনা হয়, তাও আবার সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরুর বিভাজন তৈরি হয়, এটা ভারতে নজিরবিহীন ঘটনা। তৃণমূল মানুষকে সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু হিসাবে ভাগ করে, তাই মৌলবাদ বাড়ছে।”