Mamata Banerjee: বাংলায় ভাসল রেড রোড, স্বাধীনতা দিবসেও শান বাঙালি অস্মিতায়
Mamata Banerjee Independence Day Celebration: তারপর আসে তথ্য ও সম্প্রচার দফতর 'একতাই সম্প্রীতি' ট্যাবলো। যেখানে হাতে হাত রেখে হাঁটতে দেখা যায় বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষকে।

কলকাতা: আ-মরি বাংলা ভাষা থেকে খেলা হবে। একদিকে বাঙালি অস্মিতা, অন্যদিকে বিজেপিকে ইঙ্গিতে নিশানা। ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কলকাতার রেড রোড ছোঁয়া রেখে গেল সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইস্যুগুলির। প্রতিবছরের ন্যয় এই বছরও স্বাধীনতা দিবসের দিনে পতাকা উত্তোলনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিশি বেষ্টনীতে অনুষ্ঠানে যোগদান। তারপর নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান। অবশেষে দেশের পতাকা উত্তোলন। এরপর শুরু হয়ে গেল অনুষ্ঠান। প্রথমেই রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন কর্তাদের তাদের দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠার জন্য সম্মান জানিয়ে মেডেল দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর শুরু হল পুলিশি কুচকাওয়াজ। অনুষ্ঠানের প্রতি পর্ব শুরুর আগে চলছিল ঘোষণা। প্রথমে বাংলায়, তারপর ইংরেজি তর্জমা।
উল্লেখ্য, পুলিশি কুচকাওয়াজ শেষে রেড রোডে নামে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের ট্যাবলো। যার একদম প্রথমেই ছিল পর্যটন দফতরের করা দুর্গা থিমের ট্যাবলোটি। তারপর আসে তথ্য ও সম্প্রচার দফতর ‘একতাই সম্প্রীতি’ ট্যাবলো। যেখানে হাতে হাত রেখে হাঁটতে দেখা যায় বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষকে।

তবে স্বাধীনতা দিবসে বাদ পড়ল না প্রকল্পের কথাও। রেড রোডে ‘নারীশক্তি’ প্রদর্শনের মাধ্যমে তুলে ধরা হল কন্যাশ্রীর সাফল্য। আর সেই প্রদর্শনীর সময়ে ‘স্বাভাবিক নিয়মে’ নেপথ্য বাজল মুখ্যমন্ত্রী লেখা ও সুর দেওয়া একটি গান। পাশাপাশি, শ্রম দফতরের তরফে আবার যখন রেড রোডে পদযাত্রা শুরু হল, সেই সময়ও স্পিকারে বাজতে শোনা গেল মুখ্য়মন্ত্রীর লেখা একটি গানের অংশ ‘বাংলা জিতবে, জিতবে…’। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ইঙ্গিত স্পষ্ট। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠান থেকেও বাঙালি অস্মিতাতেই জোর রাজ্য সরকারের।

বাঙালি অস্মিতা যখন রয়েছে, বাংলা ভাষা, বাংলার বিপ্লবীরাও বাদ যেতে পারে না। বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের পদযাত্রায় দেখা গেল সেই ছবি। হাতে বাংলা-সহ নানা ভাষা বর্ণ লেখা পোস্টার নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। হিন্দি মাধ্য়মের স্কুল হোক বা গোর্খা স্কুল, তাদের পোস্টারও লেখা রয়েছে বাংলায়। এমনকি, কলকাতা প্রথম সারির ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল লরেটো হাউসের পদযাত্রায় দেখা গেল বাংলায় লেখা পোস্টার। তবে এতটা অবধি রাজনৈতিক পারদ অল্প ছিল। যা চড়ল যুব ও ক্রীড়া দফতরের ট্যাবলোয়, বাজল মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গান খেলা হবে। শোনা গেল, ‘ত্রিপুরাতেও খেলা হবে, অসমেও খেলা হবে, দিল্লিতেও খেলা হবে, সারাদেশে খেলা হবে।’


