কলকাতা: শেষ বার দেখা হয়েছিল অগাস্ট মাসে। সেসময় হলুদ গোলাপ আর বাংলার মিষ্টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেসময়ও সেটিং তত্ত্ব খাঁড়া করতে দেরি করেনি বাম কংগ্রেস। আজ ফের একবার জি ২০ সম্মেলন নিয়ে বৈঠকের উদ্দেশে রাজধানী সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একান্তে বৈঠক এবারও কি হবে? তুঙ্গে জল্পনা।
ফের একবার মোদী মমতা একই ছাদের তলায়। তবে এবার তৃণমূল নেত্রী হিসেবে। মোদী মমতার এবার কোনো আলাদা বৈঠকের জন্য সময় চাওয়ার কথা না নবান্ন না পিএমও কোনো তরফেই স্বীকার করা হয় নি। যদিও, সোমবার বিকাল পাঁচটায় রাষ্ট্রপতি ভবনে জি ২০ বিষয়ে বৈঠকে মোদী মমতা এক সঙ্গে থাকবেন বলেই খবর। সোমবার দুপুরে দিল্লি পৌঁছে বৈঠকে যোগ দেবেন। মঙ্গলবার যাবেন আজমেঢ়-পুষ্কর, বিকেলে দিল্লি ফিরবেন। বুধবার দুপুরে সৌগত রায়ের দিল্লির বাড়িতে বৈঠক। তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ফের বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরবেন।
শেষ বারের সাক্ষাত ও রাজনৈতিক চাপানউতোর মনে আছে সবারই। তার জনই কি তৃণমূল নেত্রী ও মোদীর আলাদা সাক্ষাতের কোনও কথা এখনো পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে না? সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। সেক্ষেত্রে বঙ্গ বিজেপিও যে আরেকটা মোদী মমতা বৈঠক নিয়ে খুব একটা স্বস্তিতে থাকবে না তা স্পষ্টই। ক্যাডার দের মধ্যেও ভুল বার্তা যেতে পারে বলে আশঙ্কা পদ্ম শিবিরের। কারণ গত অগাস্টের শেষ বৈঠকে কম খোঁচা হজম করতে হয়নি বঙ্গের গেরুয়া শিবিরকে। তবে বিরোধীদের নজর আগামী কয়েক দিন দিল্লিতেই থাকবে বলে জানা গেছে। যে কোনো রাজনৈতিক শিষ্টাচারও যে এবার রাজনীতির রঙে দেখা হবে, সেটা বুঝেছেন মোদী মমতাও। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর নিয়ে ফের একবার ‘সেটিং’ তত্ত্ব ইতিমধ্যেই খাড়া করে দিয়েছে বামেরা।
সূত্রের খবর, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে দলীয় কর্মসূচি কী হবে, সাংসদরা কোন ইস্যুগুলিতে সরব হবেন, তা ঠিক করে দিতে পারেন মমতা। দলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। যদিও, মমতার ক্যাপিটাল প্ল্যানের যাবতীয় কৌতুহল রয়েছে একটা বিষয়েই- আর তা হল, মোদী মমতা একান্ত সাক্ষাত হয় কিনা!