কলকাতা: ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি দণ্ডবিধি ও ভারতীয় সাক্ষ্য আইনে বদল আনতে চাইছে কেন্দ্র। সংসদের বিশেষ অধিবেশন চলাকালীন এগুলিকে পরিবর্তন করার জন্য তিনটি বিলও পাশ হয়েছে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতাবাদের সময় থেকে চলে আসা এই আইনগুলিতে পরিবর্তন আনতে চায় কেন্দ্র। এই তিনটি পরিবর্তন করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে খসড়া তৈরি করেছে, তা ইতিমধ্যেই নেড়েচেড়ে দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সেই খসড়া দেখে ‘স্তম্ভিত’ মমতা। এক্স হ্যান্ডেলে নিজেই সেকথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই খসড়াগুলি ভীষণভাবে নাগরিক-বিরোধী বলেও মনে করছেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, “এই খসড়াগুলিতে চুপিসারে অত্যন্ত কঠোর আমজনতা-বিরোধী কিছু বিধি নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।”
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধি পরিবর্তনের জন্য যে বিল আনা হচ্ছে, তাতে দেশদ্রোহ আইন থাকবে না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খড়সা পড়ে দেখে মনে করছেন, “দেশদ্রোহ আইন তুলে দেওয়ার নামে কেন্দ্র প্রস্তাবিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় আরও কঠোর ও আরও স্বেচ্ছাচারী ধারা নিয়ে আসতে চাইছে। যা আমজনতার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।”
এক্স হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, দেশের আইনগুলিকে শুধু নামেই ঔপনিবেশিক প্রভাব মুক্ত করলে চলবে না, এগুলিকে ভিতর থেকে আত্মস্থও করতে হবে। সেই কারণে আইনজ্ঞদের এবং জনপ্রতিনিধি কিংবা মানবকল্যাণে যুক্ত ব্যক্তিদের এই খসড়াগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন মমতা। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি আরও লিখেছেন, তৃণমূলের সাংসদরা সংসদের স্থায়ী কমিটিতে এই বিষয়টি নিয়ে সরব হবেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ” পিছনের দরজা দিয়ে যাতে আবার ঔপনিবেশিকতাবাদ দিল্লিতে ঢুকে না পড়ে, সেটি দেখতে হবে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের টুইট প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “পৃথিবী বদলাচ্ছে, দেশ বদলাচ্ছে। আমাদের রাজ্যও বদলাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। যারা দেশবিরোধী কাজকর্ম করে, তাদেরও মডিউল বাড়ছে। এ রাজ্যেও বেড়েছে। এ রাজ্যকে বেস করে তারা নিজেদের লোকজন ছড়িয়ে দিচ্ছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর থেকে এই ধরনের টুইট প্রত্যাশিত নয়।”