কলকাতা : ফুরফুরা শরিফের (Furfura Sharif) উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে নতুন নাম। এবার তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্তকে চেয়ারম্যান করা হল ফুরফুরা শরিফের। বুধবারই বিধায়ক ইমামদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, চেয়ারম্যান বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দীর্ঘদিন ধরেই এই দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ঘনিষ্ঠ মহলে ফিরহাদ জানিয়েছেন, অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে ফুরফুরা শরিফে সবসময় যেতে পারেন না তিনি, সে কারণেই এই রদবদল করা হয়েছে। সোমবারই মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংখ্যালঘুদের সমস্যার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ২ মার্চ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম নিজেই তাঁকে এই খবর জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীই যে তাঁকে নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন, সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রথম দিন থেকে এই উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে তপন বাবু হুগলির বিধায়ক হওয়ায়, ফুরফুরার উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি এই ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দকী রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সংখ্যালঘু প্রার্থী দেওয়ার পক্ষেই মূলত সওয়াল করেছেন ত্বহা সিদ্দিকী। সামনের ভোটে বিবেচনা করে প্রার্থী না দেওয়া হলে, সারা পশ্চিমবাংলায় মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির ঘটনা ঘটতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সাগরদিঘি উপ নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ওঠে, সংখ্যালঘুদের একাংশ কি অসন্তুষ্ট? তার জেরেই সোমবার মন্ত্রিসভার আলোচনায় উঠে আসে সেই প্রসঙ্গ। কোথায়, কী অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তা জানতে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সাবিনা ইয়াসমিনদের দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে অবশ্য মনে রাখা দরকার নওশাদের গ্রেফতারি। আইএসএফ বিধায়ক তথা পীরজাদা পরিবারের ছেলে নওশাদ সিদ্দিকীকে গত জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ৪০ দিনেরও বেশি সময় জেলবন্দি থাকতে হয়েছিল তাঁকে। তাঁর এই গ্রেফতারিতে বিক্ষোভ তৈরি হয় বিভিন্ন মহলে। এমনকী আদর্শগত মিল না থাকলেও প্রচ্ছন্ন সমর্থনের বার্তা দিয়েছিল বিজেপিও। সাগরদিঘি নির্বাচনে নওশাদও যে একটা বড় ফ্যাক্ট হয়ে উঠেছিলেন, তেমনটাও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর বলা বাহুল্য, বাংলার রাজনীতিতে বরাবরই ফুরফুরা শরিফের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।