কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে এই অভিযোগ বারবার করেছে তৃণমূল। বিভিন্ন ইস্যুতে সরবও হয়েছেন তাঁরা। তবে সোমবার বিস্ফোরক দাবি করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বললেন যে কেউ তাঁকে মেসেজ পাঠিয়ে বলেছেন লোকসভা ভোটের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু কে তাঁকে এই মেসেজ করেছেন সে কথা প্রকাশ্যে আনেননি মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “কালকে আমাকে একজন মেসেজ দিয়েছে। অভিষেককে ভোটের আগে গ্রেফতার করব। এই নিয়েই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশির কথাও তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, “আমি অনেক সরকার দেখেছি কিন্তু এরকম প্রতিশোধস্পৃহামূলক সরকার দেখিনি।” তারপর বলেন, “ওঁরা নিজেরা ইচ্ছে মতো অভিষেকের অফিসে ঢুকেছে। কাউকে কিছু বলার প্রয়োজন মনে করেননি। নিজের ইচ্ছামতো ঢুকে গিয়ে, যা খুশি করছে। অভিষেকের কম্পিউটার থেকে সব ফাইল বের করে নিয়েছে। তারপর নিজেরা কতগুলি ফাইল তৈরি করে নিয়ে গিয়েছে। আর সেগুলো ওখানে ভরে দিয়েছে। তোমরা যদি কম্পিউটার ওস্তাদ হও। তাহলে আমরাও মাস্টার। আমরা সব বের করে নিয়েছি একেবারে টাইম ধরে, যে এগুলো তোমরা ঢুকিয়েছ। ওদের কম্পিউটারে এগুলো ছিল না।” এখানেই থেমে থাকেননি মমতা। ইডি-র তল্লাশির পর অফিসে কম্পিউটারে অজানা ১৬টি ফাইল দেখতে পাওয়া যায় বলে দাবি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এরপরই লালবাজারের সাইবার পুলিশের দ্বারস্থ হন লিপস অ্যান্ড বাউন্সের কোম্পানির কর্মীরা। সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “যে রিপোর্ট লিখেছে, তাঁকেও বলছে গ্রেফতার করব। হ্যাঁ সবাইকে গ্রেফতার করে নাও তোমরা।”
এ দিন আজ অভিষেক বলেন, “আমাদের ধমকে-চমকে লাভ নেই। আপনারা তো দেখেছেন, আমি যেদিন এসেছি, পরের দিন ইডিকে পাঠিয়ে দিয়েছে রেড করতে। ইডি রেড করতে গিয়েছে, সেখানে আমার অফিসে গিয়ে রেড করেছে। তার সঙ্গে সঙ্গে ১৬টি ফাইল একটা কম্পিউটারে ডাউনলোড করে দিয়ে চলে এসেছে।”
এই বিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য যদিও বলেছেন, “প্রতিহিংসার রাজনীতি বিজেপি করে না। তৃণমূল করে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন দীর্ঘদিনের রাজনীতিক। তদন্ত কোন পথে চলেছে, সেটা তিনি বুঝতে পেরেছেন। গলি থেকে রাজপথ, যেটা নিয়ে মানুষ আলোচনা করছে, মুখ্যমন্ত্রী আজ সেটাই বলেছেন।”