কলকাতা: আরজি করকাণ্ডে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। সিপি বিনীত গোয়েলের ইস্তফার দাবি তুলেছেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে পুজোর আগে সিপি বদলের সম্ভাবনা যে কার্যত নেই, সোমবার সে ইঙ্গিতই শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে মমতা বলেন, সবকিছুর জন্যই ধৈর্য ধরতে হয়।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
এদিন নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই বৈঠকেই মমতা বলেন, “সাতদিন আগে কলকাতা পুলিশ কমিশনার নিজে এসেছিলেন আমার কাছে পদত্য়াগ করার জন্য। কিন্তু সামনে পুজো। ল’ অ্যান্ড অর্ডারটা বড় বিষয়। যিনি দায়িত্বে থাকবেন, তাঁকে তো বিষয়টা জানতে হবে। পুজোর সময়। কিছুদিন ধৈর্য ধরলে কী হয়? আপনারা ঠিক করবেন, সবাইকে বদলাতে হবে? আপনি ১০টা দাবি দিতে পারেন। আমি ৫টা করতে পারি, ৫টা নাও করতে পারি।”
আরজি করকাণ্ডের আবহে পুলিশ সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছেন বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, বহুক্ষেত্রেই পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়নি। বদলে অন্য জায়গা থেকে অনুমতি বার করে আনা হয়েছে। মমতার কথায়, “পুলিশ সামলেছে। আবার পুলিশই মার খেয়েছে, নিজেদের রক্ত দিয়েছে। তবু কারও রক্ত নেয়নি। আমি প্রশংসা করি। পুলিশও আপনাদের সারাক্ষণ পাহারা দেয়। তারাও মানবিক। তাদের সংসার আছে, পরিবার আছে। যাকে পারছেন যা খুশি বলছেন। একবার ভাববেন না, আপনার পরিবারকে তুলে কেউ বললে কেমন লাগে?”