কলকাতা: প্রত্যাশা মতোই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে ২০২৪-এর সুর বেঁধে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আগামী লোকসভা নির্বাচনে এখনও অনেক সময় বাকি রইলেও তার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দিতে হবে বলে জানান তিনি। মমতা বলেন, “আমরা লড়াই করতে প্রস্তুত। বাংলা যেমন দেখিয়ে দিয়েছে, তেমনই বিজেপিকে রুখতে হলে প্রত্যেক রাজ্যকেই এগিয়ে আসতে হবে।” সমস্ত আঞ্চলিক নেতাদের তাঁর আবেদন, “যান নিজের নিজের দলকে বোঝান।” সময় নষ্ট করলে যে অনেক দেরি হয়ে যাবে সে কথাও বলতে শোনা যায় তৃণমূল নেত্রীকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি সব রাজ্যের নেতাদের আবেদন জানাবো, যান, নিজের নিজের দলকে বোঝানো শুরু করুন। সবাই একসঙ্গে কাজ করার জন্য এক ফ্রন্ট গঠন করুন। আর এই ফ্রন্ট নিয়ে এখন থেকেই পরিকল্পনা করুন।” দেরি হয়ে গেলে যে বিজেপিকে ঠেকানো যাবে না সেই কথা উল্লেখ করে নেত্রীকে বলতে শোনা যায়, “মৃত্যুর পর ডাক্তার ডাকলে কিন্তু কোনও লাভ নেই। রোগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি তা আটকানোর বন্দোবস্ত করা যায়, তাহলে কিন্তু রোগী সেরে উঠতে পারে। তাই এখনই সময়। একটাও দিন নষ্ট করা যাবে না।”
চলতি সপ্তাহেই দিল্লি সফরে যাবেন মমতা। সেই সফর থেকেই যাতে বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর প্রক্রিয়া শুরু করা যায়, বিরোধীদের সেই আহ্বানও জানান নেত্রী। মমতা বলেন, “আমিও দিল্লি যাচ্ছি। অধিবেশন যখন চলে সবার সঙ্গে দেখা হয়। আমিও বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। শরদ পাওয়ার আছেন, চিদম্বরমজি আছেন, আপনারা ভাবুন। যদি একটা বৈঠক ডাকতে পারেন, তাহলে আমরা একসঙ্গে বসে কথা বলতে পারি। আলোচনা করতে পারি যে দেশ কোন দিকে যাচ্ছে।”
উল্লেখ্য, মমতার এ দিনের ভার্চুয়াল ভাষণ শুনতে দিল্লির কন্সটিটিউশন ক্লাবে হাজির ছিলেন শরদ পাওয়ার এবং পি চিদম্বরমের মতো নেতারা। এ বাদে প্রায় বেশিরভাগ বিরোধী শিবির থেকেই কোনও না কোনও নেতাদের উজ্জ্বল উপস্থিতি চোখে পড়ে। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজকেই এই যুক্তফ্রন্ট গঠনের আহ্বান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। মমতার পরিকল্পনা বাকি বিরোধীদের সঙ্গে খাপ খাচ্ছে কি না, সেটাও তাঁর দিল্লি সফরের মাধ্যমেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আরও পড়ুন: ‘পেগাসাস…ফেরোসাস!’ ফোনের ক্যামেরা সিল করে মমতা বললেন, ‘কেন্দ্রকে প্লাস্টার করে দাও’