মুখ্যমন্ত্রিত্বের মেয়াদ মেরেকেটে আর ৩ মাস, উপনির্বাচনের দাবিতে ফের সুর চড়ল মমতার

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Aug 23, 2021 | 5:30 PM

৫ কেন্দ্রে উপনির্বাচন, ও দুই কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন। ভোট-প্রতীক্ষায় রয়েছে বাংলা মোট ৭ টি কেন্দ্র।

মুখ্যমন্ত্রিত্বের মেয়াদ মেরেকেটে আর ৩ মাস, উপনির্বাচনের দাবিতে ফের সুর চড়ল মমতার
ছবি-PTI

Follow Us

কলকাতা: উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা নিয়ে কমিশনের গড়িমসিকে ফের একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর ৪ মাস অতিক্রান্ত, করোনা পরিস্থিতিও প্রায় বাগে চলে এসছে। তারপরও কমিশনের নীরব কেন? সোমবার ফের একবার সেই প্রশ্ন তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী উন্নয়ন বোর্ডের এর বৈঠকের পর নবান্ন সভাঘরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ দিন বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা।

৫ কেন্দ্রে উপনির্বাচন, ও দুই কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন। ভোট-প্রতীক্ষায় রয়েছে বাংলা মোট ৭ টি কেন্দ্র। এই ৭ টি কেন্দ্রে করোনা সংক্রমণের বর্তমান হাল-হকিকতও ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে। সেই রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছে, ৭ কেন্দ্রেই বর্তমানে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা শূন্য। ফলে ৬ মাসের মধ্যে যে উপনির্বাচন বা পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হওয়ার কথা, তা করিয়ে নিতে বিশেষ সমস্যা হবে না। কোভিড বিধি মেনেই নির্বাচন আয়োজন করা হোক। কিন্তু এরপরও কমিশনের পক্ষ থেকে তেমন কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। যা স্বাভাবিকভাবেই মমতাকেও স্বস্তিতে রাখেনি।

উপনির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “(বিধানসভা ভোটের পর) চার মাস চার মাস কেটে গিয়েছে। সংক্রমণের পরিস্থিতিও আমাদের এখানে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। মানুষের অধিকার রয়েছে নিজের ভোট দেওয়ার। তাই আমরা আবারও নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব, যেন অবিলম্বে উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়। আর যেখানে নির্বাচন বা উপনির্বাচন রয়েছে, সব জায়গাগুলি একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই সমস্যা হবে না।”

রাজ্যের ৫ টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং দু’টি কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন এখনও বাকি। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, বিধানসভা ভোট মেটার ৬ মাসের মধ্যেই এগুলির আয়োজন করতে হয়। সেই উপনির্বাচন যাতে দ্রুত করা হয় সেই আবেদন জানিয়ে দিল্লিতে কমিশনের দফতরে দরবার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে গিয়েও দিন ১৫ আগে একই আবেদন জানানো হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে, চলতি মাসেই রাজনৈতিক দলগুলিকে লেখা একটি চিঠিতে কমিশন উপনির্বাচন সংক্রান্ত মতামত জানতে চেয়েছিল। ৩১ অগস্টের মধ্যে যার জবাব দিতে বলা হয়েছে। ফলে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই কমিশন বড় কোনও ঘোষণা করতে পারে বলে আশাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস।

বিজেপি যদিও আগাগোড়া উপনির্বাচনের বিপক্ষে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিক সময়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচা মারার সুরে বলেছেন, করোনার জন্য যে সরকার এখনও লোকাল ট্রেন চালাতে পারছে না, তারা উপনির্বাচন করবে কী ভাবে? তাই এখন উপনির্বাচন করার প্রয়োজন নেই। তৃণমূলের পক্ষ থেকে যদিও পালটা তথ্যভিত্তির পরিসংখ্য়ান তুলে ধরা দাবি করা হচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনের সময় সংক্রমণ বর্তমান সময়ের থেকে কয়েকগুণ বেশি ছিল। তখন যদি ভোট করানো যায়, এখন তো আরও অনায়াসে করানো যাবে। আরও পড়ুন: পুজোর পর কি আদৌ স্কুল খুলবে? রাজ্যে স্কুল খোলা নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার!

 

Next Article