কলকাতা: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। যা নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে রাজ্য রাজনীতিতে। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অখিল গিরি। সেই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই জনস্বার্থ মামলায় পার্টি করা হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কিন্তু অখিল গিরির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় মুখ্যমন্ত্রীকে পার্টি করা নিয়ে আপত্তি জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। কেন মুখ্যমন্ত্রীকে পার্টি করা হয়েছে তা জানতে চান তিনি। এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই বলেও দাবি করেন তিনি। এর পরই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ অখিল গিরির অবমাননাকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া মামলার পার্টি থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। সোমবার এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে।
সুস্মিতা সাহা দত্ত নামের এই আইনজীবী অখিল গিরির বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। ইতিমধ্যেই এই মামলায় অখিল গিরিকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলা নিয়ে অখিল গিরির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেছেন, “যিনি এই মামলা করেছেন, তিনি বিজেপি লিগ্যাল সেলের সঙ্গে যুক্ত। এটা রাজনৈতিক পদ। এটা স্পষ্টতই উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত একটি মামলা। এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা খতিয়ে দেখা হোক।”
গত বছর নভেম্বর মাসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন অখিল গিরি। নন্দীগ্রাম দিবস নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি নাকি দেখতে খারাপ। নিজের রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে সম্মান করি। কিন্তু তোমাদের রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা!” এই মন্তব্যের পরই সমালোচনার ঝড় ওঠে। রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে এক জন মন্ত্রীকে কী করে এ ধরনের কথা বলেত পারেন, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। যদিও এই মন্তব্যের পর ক্ষমা চেয়েছিলেন অখিল। রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান করার কোনও ইচ্ছা ছিল না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। অখিলের দল তৃণমূল কংগ্রেসও সে সময় অখিলের বক্তব্যের নিন্দা করেছিল।