Harassment: স্ত্রীর মৃত্যুর পর মেয়েকে যৌন হেনস্থা, ৯ বছর পর সাজা শোনাল আদালত

Harassment: ২০১৬ সালের ঘটনা। বিচার পেতে ৯ বছর লেগে গেল কিশোরীর। ২০২৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কড়েয়া থানায় এসে ওই কিশোরী অভিযোগ জানান। তাঁর সঙ্গে কী পাশবিক ঘটনা ঘটেছে, তা পুলিশকে জানান। ওই কিশোরীর মা নেই। ২০০৮ সালে মারা যান।

Harassment: স্ত্রীর মৃত্যুর পর মেয়েকে যৌন হেনস্থা, ৯ বছর পর সাজা শোনাল আদালত
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2024 | 12:27 PM

কলকাতা: প্রবৃত্তির বিকারে একের পর এক জঘন্য ঘটনাক্রম চারপাশে। এক মেয়েকে যৌন নিগ্রহ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেলেন বাবা। কড়েয়া থানা এলাকার একটি মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর পসকো আদালত। বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে বৃহস্পতিবার এই সাজা শোনান।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

২০১৬ সালের ঘটনা। বিচার পেতে ৯ বছর লেগে গেল কিশোরীর। ২০২৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কড়েয়া থানায় এসে ওই কিশোরী অভিযোগ জানান। তাঁর সঙ্গে কী পাশবিক ঘটনা ঘটেছে, তা পুলিশকে জানান। ওই কিশোরীর মা নেই। ২০০৮ সালে মারা যান।

কিশোরীরা দুই বোন, এক ভাই। তিনিই বড়। মা চলে যাওয়ার পর বাবা, ভাই-বোনদের আগলে রাখার ভার তাঁরই ছিল। অভিযোগ করেন, বাবা জোর করে দুই বোনকে পরিচারিকার কাজে যেতে বাধ্য করতেন। ঘরেও নানাভাবে হেনস্থা করতেন। শারীরিক নিগ্রহের সঙ্গে মারধরও চলত।

এরপরই একদিন ভোরবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা থানায় গিয়ে হাজির হন কিশোরী। জানান, আগেও একাধিকবার একই ঘটনার সম্মুখীন হলেও ২৭ সেপ্টেম্বর বাবার কৃতকর্মের কথা থানায় জানিয়ে দেন।

পুলিশকে জানান, তাঁর বাবা তাঁকে দরজা বন্ধ করে অত্যাচার চালান। অভিযোগ পেয়ে কড়েয়া থানার পুলিশ কিশোরীর বাড়িতে যায়। রাস্তা থেকে বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

৬০ জন সাক্ষী দেন এই মামলায়। যৌন নিগ্রহ, মারধর, হুমকি-সহ একাধিক ধারায় চার্জ ফ্রেম করে মামলা এগোয়। বৃহস্পতিবার আদালত শাস্তি দিল তাঁকে। সরকারি আইনজীবী মাধুরী ঘোষ জানান, এই ধরনের জঘন্য অপরাধকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে পেরে ভাল লাগছে।