Partha-Manik in Recruitment Scam: বেসরকারি কলেজ পিছু ১০-১২ লক্ষ টাকা নেওয়া হত, পার্থ-মানিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি ED-র

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 01, 2022 | 6:49 PM

Partha-Manik in Recruitment Scam: ইডি-র দাবি, টাকার বিনিময়ে সেই এনওসি দেওয়া হত, আর তা দেওয়ার জন্য পার্থকে সুপারিশ করতেন মানিক।

Partha-Manik in Recruitment Scam: বেসরকারি কলেজ পিছু ১০-১২ লক্ষ টাকা নেওয়া হত, পার্থ-মানিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি ED-র

Follow Us

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। আগেই অভিযোগ উঠেছিল, বিএড কলেজগুলি থেকে ছাত্র পিছু টাকা নিতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। টাকা নেওয়া হত ডিএলএড কলেজ থেকেও। এবার ইডি-র দাবি,  বেসরকারি কলেজগুলিকে  ‘নো অবজেকশন’ বা অনুমোদন দেওয়ার জন্যও টাকা দেওয়া নেওয়া হত। কলেজ পিছু ১০-১২ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হত বলে দাবি করেছে ইডি। চার্জশিটেও কেন্দ্রীয় সংস্থা এই টাকার কথা উল্লেখ করেছে।

বুধবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কে। সেখানেই এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন ইডি-র আইনজীবীরা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র সরকারি নয়, বেসরকারি কলেজ থেকেও টাকা নিতেন পার্থ-মানিক। বেসরকারি ফার্মাসি কলেজ ও ল কলেজগুলি থেকে টাকা নেওয়া হত বলে অভিযোগ।

বেসরকারি এই সব কলেজগুলিকে শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে এনওসি নিতে হয়। ইডি-র দাবি, টাকার বিনিময়ে সেই এনওসি দেওয়া হত, আর তা দেওয়ার জন্য পার্থকে সুপারিশ করতেন মানিক। শুধু তাই নয়, এ ক্ষেত্রে প্রসন্ন রায়ের মতো মধ্যস্থতাকারী ছিলেন বলে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা। সেই মধ্যস্থতাকারীকে চিহ্নিত করে তলব করা হতে পারে বলেও ইডি সূত্রে খবর।

টাকা নেওয়ার অভিযোগ অবশ্য মানিকের বিরুদ্ধে প্রথম নয়। মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ডিএলএড-এ যাঁরা প্রশিক্ষণ নিতে চাইতেন, তাঁদের থেকে নিয়মিত ভাবে টাকা নেওয়া হত। ডিএলএড-এর যে ৬০০টি কলেজ রয়েছে, ভর্তির জন্যই নেওয়া হত ওই টাকা। যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কলেজে নাম নথিভুক্ত করতে পারতেন না, তাঁদের অফলাইনে নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করে দিতেন মানিক। তাপস মণ্ডল দাবি করেছেন, এভাবে অন্তত ২০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল।

এই প্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, দুর্নীতির জাল অনেক দূর ছড়িয়েছে। তা গোটাতে একটু সময় লাগবে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে, তবে আরও একটু অপেক্ষা করতে হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।

Next Article