কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের মামলায় পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য চরম অস্বস্তিতে। মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চে যেতেই হচ্ছে তাঁকে। তার আগে অবশ্য এদিন বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। আচমকাই তাঁর অদ্ভুত বক্তব্য, ‘আই অ্যাম রক্তাক্ত বাই প্রেস…’ কিন্তু হঠাৎ কেন তাঁর এই বক্তব্য? এদিনের গোটা বিষয়টিই অত্যন্ত নাটকীয়।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের মামলায় পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও তাঁর স্বস্তি মেলেনি। মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় ডিভিশন বেঞ্চে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তার আগে এদিন সকালে বিধানসভায় পৌঁছন তিনি।
আর বিধানসভাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঢুকে বিভিন্ন কাজকর্মে অংশ নেন। এরপর বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে তাঁকে ব্রাত্য বসু, ইন্দ্রনীল সেন, তাপস রায়ের সঙ্গে দফায় দফায় বেশ কয়েক মিনিট কথা বলেন তিনি। এরপর তিনি যখন বেরিয়ে আসছিলেন, তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তিনি হাইকোর্টে যাচ্ছেন কিনা।
আচমকাই তাঁর আচরণে অত্যন্ত বিরক্তভাবে লক্ষ্য করা যায়। সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। গলার স্বর উঁচু করেই বলতে থাকেন, সংবাদমাধ্যম তাঁর ওপর অত্যাচার করছে। ‘আই অ্যাম রক্তাক্ত বাই প্রেস…’ ‘প্রেস আমাকে আদালতে যেতে দিচ্ছে না’ বলেও অভিযোগ করেন মানিক ভট্টাচার্য।
শাসকদলের বিধায়কদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেন মানিক ভট্টাচার্য। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিধানসভা থেকে বেরিয়ে হাইকোর্টে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছন তিনি।
আপাতত হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদের দায়িত্ব সামলাবেন পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি। আইন কৌশলীরা মনে করছেন, টেট দুর্নীতি সংক্রান্ত বিশেষ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। গত সোমবারই সিবিআই দফতরে এই সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে।