Manik Bhattacharya: ‘…আমায় ফাঁসি দিয়ে দিক, জেলে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছি’, আদালতে বললেন মানিক

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 07, 2023 | 2:22 PM

Manik Bhattacharya: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়।

Manik Bhattacharya:  ‘...আমায় ফাঁসি দিয়ে দিক, জেলে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছি’, আদালতে বললেন মানিক
আদালতের পথে মানিক ভট্টাচার্য।

Follow Us

কলকাতা: ফের মেজাজ হারালেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। আদালতে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। তখনই মেজাজ হারান মানিক। সাংবাদিকদের উদ্দেশে কার্যত তুই-তোকারি করে মানিক বলেন, “আগে ডিভিশন বেঞ্চের অর্ডার নিয়ে আয়…।” নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। মানিককে সশরীরে হাজির করানো হয়। বাকি দু’জনের হাজিরা ছিল ভার্চুয়ালি। সে সময়ে আদালতের ঢোকার মুখে মেজাজ হারান মানিক।

এদিন শুনানির সময়ে আদালত কক্ষে সাংবাদিকদের খবর নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মানিক। তিনি বলেন, “মিডিয়া প্রকাশ করল কাল সিবিআই আমার কাছে গিয়েছিল। পাসপোর্ট নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছে।” মানিকের প্রশ্ন, “আমার দুটো পাসপোর্ট থাকলে কেন্দ্রীয় সরকার কেন ধরলো না? কাল সিবিআইকে আমি দেখিয়েছি।” এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, চলতি মাসের এক তারিখেই সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের নামে দুটো পাসপোর্ট রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে এমন তথ্য পেয়ে বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছিলেন ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ’। সেই খবরটিই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কিন্তু তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মানিক। এরপরই এদিন আদালতে ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, “যাঁরা বলছেন, তাঁরা আমায় ফাঁসি দিয়ে দিক। আমি কারাগারে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছি।”

মানিকের হয়ে তাঁর আইনজীবী বলেন, “আমার মক্কেলের নদিয়ায় বাড়ি আছে। যাদবপুরের ফ্ল্যাট আছে। এই সব ইডিকে জানিয়েছি।” কিছুটা বিমর্ষ হয়ে মানিক বলেন, “আমার মান সন্মান সব জলাঞ্জলি দিচ্ছে। মামলা ডিভিশন বেঞ্চে যায়নি। আমি একজন মানুষ। আমি আর কত সহ্য করব?” মানিক নিজের পক্ষে বলতে থাকেন, “৬৬০ স্কোয়ারফিটের একটা ফ্ল্যাট আছে যাদবপুরে। পরে ১১০০ স্কোয়ারফিটের একটা ফ্ল্যাট কিনেছি, ফ্যামেলি বেড়েছে তাই।”

সেই প্রসঙ্গে উঠে আসে মানিকের নদিয়ার বাড়ির কথাও। আইনজীবী বলেন, “নদিয়ায় বাড়ি আছে। ওটা যদি লন্ডন টেকওভার করে, তবে আমার লন্ডনে বাড়ি আছে।” তিনি আরও বলেন, “এক জন সিঙ্গল বেঞ্চের জজ এই সব বলছেন।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই নিয়োগ মামলার শুনানিতে মানিক প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি মন্তব্য করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি সেদিন সিবিআই-কেই জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘‘কত বার লন্ডনে গিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য? তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানেন? আমি বলতে পারি। শুনবেন? লন্ডনে তাঁর বাড়ির পাশে কার বাড়ি জানেন?” লন্ডনের বাড়ি প্রসঙ্গেই এদিন মন্তব্য করেন মানিক।

Next Article