কলকাতা : সম্প্রতি কালীঘাটের একটি ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির চত্বরে প্রায় সাত ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন এক ব্যক্তি। পরে তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কী ভাবে এতক্ষণ ধরে একজন ব্যক্তি বসে রইলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধী দলের রাজনীতিক থেকে প্রাক্তন পুলিশ কর্তারা। অনেকেই রাজ্যের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব মনোজ ভার্মাকে দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। বুধবার নবান্নে বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, আইপিএস মনোজ ভার্মাকে পুরনো দায়িত্ব থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে আনা হচ্ছে। এ দিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল নবান্নে। সেখানেই উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার প্রসঙ্গ। বর্তমানে ব্যারাকপুরের কমিশনার অব পুলিশ পদে ছিলেন মনোজ শর্মা। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তার দায়িত্বে আনা হচ্ছে। সাম্প্রতিক ঘটনা প্রসঙ্গেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
ওই ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে কয়েক গুন। শুধু কালীঘাট নয়, পাশাপাশি নবান্নের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আরও পোক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় দুটো ওয়াচ টাওয়ার বসানো হবে। একটি ওয়াচ টাওয়ার আলিপুর জেল সংলগ্ন, অন্য ওয়াচ টাওয়ারটি বলরাম ঘাটের দিকে বসানো হবে। প্রতি শিফটে ২০ জন করে পুলিশ কর্মী থাকবেন মুখ্য়মন্ত্রীর বাড়ির সামনে। সিসিটিভিতে আরও নজরদারি বাড়ানো হবে।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই যুবকের নাম হাফিজুল মোল্লা। পেশায় গাড়ি চালক হাফিজুলের বাড়ি বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার আষাড়িয়া নারায়ণপুর গ্রামে। পরিবারের দাবি, মানসিক সমস্যা রয়েছে হাফিজুলের।