কলকাতা : নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত প্রক্রিয়া যতই এগোচ্ছে ততই চাপ বাড়ছে শাসক তৃণমূলের। নাম জড়িয়ে যাচ্ছে একের পর তৃণমূল নেতার। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে ইতিমধ্যেই বাতিল হয়েছে বহু নেতা, মন্ত্রীর পরিজনদের চাকরি। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন হুগলির একাধিক যুব নেতা। গ্রেফতার হয়েছেন কুন্তল ঘোষ, শান্তুনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূল নেতারা।এবার হুগলির ধনেখালিতে এ গিয়ে ফের নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে শাসকদলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গেল বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে (BJP Leader Locket Chatterjee)। লকেটের দাবি, “হুগলিতে মন্ত্রী বিধায়ক অনেকেই যুক্ত আছে এই দুর্নীতিতে। চুঁচুড়ার বিধায়ক অনেককে চাকরি দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। অনেক তথ্য আছে। সময় হলেই একে একে বের করব। ধনেখালি, সিঙ্গুরেও অনেকে আছেন। সব সিবিআই-ইডির জালে ধরা পড়বে।”
ধনেখালির গংগেসনগর বেলেপোতা গৌড় নিত্যানন্দ মঠে পানীয় জলের কল উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখান থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। লকেট বলেন, “শান্তনুর বিষয়টা সবাই জানত। আমরা ভাবছিলাম কখন গ্রেফতার হবে। এটা একটা বড় জাল। এত বছর ধরে এই মকড়সার জাল তৃণমূল গোটা বাংলায় ছড়িয়েছে। সিবিআই-ইডি এই জাল গোটাতে শুরু করেছে। আরও অনেক রথি-মহারথি জেলে যাবে। আমরা চাই যাঁরা জনতার টাকা লুঠ করেছে তাঁদের যেন তাড়াতাড়ি শাস্তি হোক।”
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কয়েকদিন আগেই গ্রুপ-সিতে চাকরি চলে গিয়েছে ৮৪২ জনের। বাতিলের তালিকায় নাম রয়েছে মন্ত্রী, তৃণমূল নেতার পরিজনদের। যা নিয়ে লাগাতার শাসকদলকে তোপ দেগে চলেছে বিরোধীরা। সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “হাইকোর্ট আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিচ্ছে। এসএসসি রিপোর্ট করছে যে এরা কোয়ালিফায়েড নয়, ওএমআরে গোলমাল আছে। নথি তথ্য হাতে নিয়ে হাইকোর্ট নির্দেশ দিচ্ছে। সেখানে তো বলার কোনও জায়গাই নেই।”
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “বিজেপির সাংসদ হওয়ার আগে লকেট তৃণমূলে ছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভাল বান্ধবী লকেট চট্টোপাধ্যায়।মদনদারও বান্ধবী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম করে টাকা তুলেছেন লকেট। এর আগেও অনেক খারাপ কথা বলেছেন লকেট। এবার মানহানির মামলা করব।”