কলকাতা: উচ্চশিক্ষা দফতরের (Higher Education Department) আগের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল ১৮ জুলাই থেকে কলেজভিত্তিক ভাবে ভর্তি প্রক্রিয় শুরু হবে। ৫ অগস্ট বন্ধ হয়ে যাবে পোর্টাল। এরপর কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর কয়েকদিন পরেই শেষ হওয়ার কথা ছিল সে সময়সীমা। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে আবেদনের সময়সীমা পেরোলেও একাধিক কলেজে প্রচুর আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। আর ঠিক সে কারণেই ফের ভর্তির পোর্টাল খোলার নির্দেশ বিকাশ ভবনের (Bikash Bhavan)। জারি হয়েছে নির্দেশিকা।
সরকারি নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে ১২ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত চাইলে স্নাতক স্তরে ভর্তির পোর্টাল খুলতে পারবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চালানো যাবে ভর্তি প্রক্রিয়া। সরকারি নির্দেশিকায় সাফ লেখা হয়েছে, রাজ্যের শিক্ষা দফতর তরফে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে রাজ্যে স্নাতক স্তরে একাধিক প্রতিষ্ঠানের বহু আসন এখনও ফাঁকা পড়ে রয়েছে৷ আর সে কারণেই পুনরায় ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করা নির্দশ দেওয়া হয়েছে। সহজ কথায় সমস্ত জেনারেল ডিগ্রি কলেজই ১২ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুনরায় ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করতে পারবে। খোলা যাবে ভর্তির পোর্টাল।
সরকারি নির্দেশিকাতেই লেখা রয়েছে ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনিভার্সিটিস অ্য়ান্ড কলেজেস (অ্যাডমিনেস্ট্রেশন অ্যান্ড রেগুলেশন) আইন ২০১৭-র ধারা ১৮ বলেই ভর্তি প্রক্রিয়া বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে আগের নির্দেশিকা মোতাবেক নতুন শিক্ষাবর্ষে স্নাতকের প্রথম সেমেস্টারের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে। সেখানে এবার পুনরায় ফাঁকা আসনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হলে ক্লাস শুরু হতে বেশ খানিকটা দেরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বর্তমানে ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে স্নাতকোত্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া। ১৫ তারিখ পর্যন্ত করা যাবে আবেদন। ২১ অক্টোবরের মধ্যে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ভর্তি প্রক্রিয়া। এরপরেই নতুন শিক্ষাবর্ষে ১ নভেম্বর থেকে স্নাতকোত্তরে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। স্নাতকের পর এবার স্নাতকোত্তরের ভর্তির ক্ষেত্রে একই চিত্র দেখতে পাওয়া যায় কিনা এখন সেটাই দেখার। অন্যদিকে এই চিত্র দেখে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে করোনা পরবর্তী সময়ে কী তাহলে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহ হারাচ্ছে বাংলার যুব সমাজ? উত্তর খুঁজতে গিয়েই উদ্বেগ বেড়েছে শিক্ষামহলের।