Arnab Dam: প্রথম হয়েও মিলছে না স্কলারশিপ, জেলবন্দি হওয়াই ‘কাল’ হল অর্ণব দামের জীবনে?
Maoist Leader Arnab Dam: বহুদিন যাবৎ জেলবন্দি মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম। টাকা-পয়সা প্রায় নেই। এই পরিস্থিতিতে ভরসা স্কলারশিপ। কিন্তু তাও যেন একটা অনিশ্চয়তার নাম। এর আগে পিএইচডি-র প্রবেশিকা পরীক্ষায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ে অর্ণব প্রথম হলেও, তাঁর ভর্তি নিয়ে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্দরে বেশ টালবাহানা দেখা যায়।

কলকাতা: মেধার লড়াইয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক পড়ুয়াকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন জেলবন্দি মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম। এক কথায় তিনি ‘ফার্স্ট বয়’। কিন্তু তারপরেও মিলছে না স্কলারশিপ। এমনটাই অভিযোগ গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি বা এডিআর-র অন্যতম সদস্য রণজিৎ সুরের।
বর্তমানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন অর্ণব। হাজার প্রতিবন্ধকতাকে পেরিয়ে গবেষণার কাজে অনুমতি পেয়েছেন তিনি। কিন্তু গবেষণা করলেও তার জন্য মিলছে না স্কলারশিপ। এদিন সেই প্রসঙ্গেই নিজের সমাজমাধ্যমে এপিডিআর সদস্য লেখেন, ‘বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ের গবেষকদের জন্য দুই ধরনের স্কলারশিপ রয়েছে। একটি নন-নেট বিবেকানন্দ স্কলারশিপ। অন্য়টি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্কলারশিপ। কিন্তু অর্ণবকে কোনওটিই দেওয়া হচ্ছে না। অথচ সব পরীক্ষায় প্রথম অর্ণবেরই স্কলারশিপ পাওয়ার কথা।’
কিন্তু কেন স্কলারশিপ চ্যুত হয়েছেন কৃতি ছাত্র অর্ণব? রণজিৎ লিখছেন, ‘নন-নেট স্কলারশিপ প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ হয়েছে, কিন্তু তাতে অর্ণবের নাম নেই। মৌখিক ভাবে জানান হয়েছে, মাওবাদী সাজাপ্রাপ্ত বন্দি বলে অর্ণবকে স্কলারশিপ দেওয়া হয়নি। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্কলারশিপও কোনও এক প্রভাবশালীর সুপারিশকৃত প্রার্থীকে প্রদান করা হবে।’
বহুদিন যাবৎ জেলবন্দি মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম। টাকা-পয়সা প্রায় নেই। এই পরিস্থিতিতে ভরসা স্কলারশিপ। কিন্তু তাও যেন একটা অনিশ্চয়তার নাম। এর আগে পিএইচডি-র প্রবেশিকা পরীক্ষায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ে অর্ণব প্রথম হলেও, তাঁর ভর্তি নিয়ে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্দরে বেশ টালবাহানা দেখা যায়। তবে সেই সব প্রতিকূলতাকে পেরিয়েই অর্ণব গবেষণার কাজ শুরু করেছেন। তাতে এবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্কলারশিপ। অর্ণবের অভিযোগ, ‘স্কলারশিপ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে অনিয়ম চলছে।’ ইতিমধ্যে এপিডিআর তরফে এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও উপাচার্য শঙ্কর কুমার নাথকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তবে অর্ণবের স্কলারশিপ জটের দায় রাজ্যপালের দিকেই ঢেলে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “রাজ্যপাল মনোনীত উপাচার্যদের জন্য এই অবস্থা। তিনিই প্রতি স্তরে এই ধরনের কাজগুলো করছেন। কেন্দ্রের সরকার স্কলারশিপ বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজে উদ্য়োগী হয়ে তা আবার চালু করান। অর্ণবের ব্যাপারটা আলাদা। ওটা দেখতে হবে। ও যেহেতু রাজনৈতিক বন্দি। তার ক্ষেত্রে কিছু প্রোটোকল রয়েছে।”
পাল্টা বিজেপি নেতা তাপস রায়ের দাবি, “মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ না হলেই সে মাওবাদী হয়ে যাবে।” অর্ণবের কথা বলতে গিয়ে তাপস রায়ের মুখে শোনা যায় সদ্য শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে হামলায় জড়ানো স্পেনের বাঙালি গবেষক হিন্দোল মজুমদারের কথাও। বিজেপি নেতা বলেন, “স্পেন থেকে আসা ছেলেটা, ওর সঙ্গেও কী ব্যবহার করল? ধর্ষক, গুণ্ডাদের আশ্রয় দিচ্ছে। আর ভাল ছেলেদের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করছে।”
