কলকাতা : ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের ময়দানে মিঠুন চক্রবর্তীকে নামিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচার মঞ্চে তাঁর ‘জাত গোখরো’ সংলাপ সাড়া ফেলে দিয়েছিল। ফের একবার বাংলার মাঠে-ময়দানে অভিনেতাকে দেখা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সোমবার সকালেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন মিঠুন। রাজনীতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি, তবে সূত্রের খবর এ দিন বিকেলেই রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে যাবেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।
জানা গিয়েছে,তিনদিনের সফরে শুটিং-এর কাজেই কলকাতায় এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি। কিন্তু রাজনীতি নিয়ে কোনও কথা বলেননি তিনি। কিন্তু বিজেপি দফতরে তাঁর বৈঠকের কথা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। ২০২৪-এর লক্ষ্যে ইতিমধ্য়েই প্রস্তুতি শুরু করেছে সব দল। এ ছাড়াও পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। তার আগে মিঠুনের এই সফর রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। সূত্রের খবর বিকেল সাড়ে ৫ টায় বিজেপি দফতরে যাবেন তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক বিজেপির প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেছিলেন মিঠুন। প্রথমবার নরেন্দ্র মোদীর মঞ্চে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নেই, আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি।’ তাঁর সেই সংলাপ নিয়ে মামলাও হয় আদালতে।
কিন্তু গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবির পর আর তাঁকে বাংলার রাজনীতিতে বিশেষ দেখা যায়নি। এবার ফের তিনি নতুন করে সক্রিয় হচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, গ্রামে গঞ্জে টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে প্রচার চালানো তৃণমূলের অন্যতম কৌশল। পঞ্চায়েতেও যে সেই প্রচার চালানো হবে, এটা স্পষ্ট। তাই গেরুয়া শিবির সম্ভবত তারই পাল্টা মহাগুরুকে মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
উল্লেখ্য, বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতিতে বাংলার যে কয়জন সদস্য রয়েছেন, তাঁর মধ্যে অন্যতম মিঠুন। আর সদ্য হয়ে যাওয়া জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর বিজেপি প্রচার কৌশল ও অন্যান্য কর্মসূচী নিয়ে সক্রিয় হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।