কলকাতা: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ভোটের প্রচারে গেলেও গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল কাঞ্চন মল্লিককে। তৃণমূল বিধায়ককে তৃণমূল সাংসদের নামিয়ে দেওয়ার সেই ভিডিয়ো রীতমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মদন মিত্রের তরজাতেও মদনের মুখে শোনা যায় কাঞ্চন মল্লিকের নাম। রাজনীতিতে পা রাখার পর তর্কে-বিতর্কে বারবার শোনা যাচ্ছে তাঁর কথা। এইসব ঘটনায় কি রাগ হয় কাঞ্চনের?
TV9 বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাঞ্চন বলেন, “আমার সাংসদ কল্যাণ। তিনি ও মদন মিত্র দু’জনেই বর্ষীয়ান নেতা। আমি কোনওদিন সমালোচনা করার এক্তিয়ারই দেখাইনি।” তবে কল্যাণের ব্যবহারে কী প্রতিক্রিয়া থাকে তাঁর?এই প্রশ্নের উত্তরে কাঞ্চন বলেন, “বিভিন্ন রকমের প্রতিক্রিয়া হতে পারে। কেউ বোতল ভাঙতে পারে, কেউ দরজায় ঘুষি মারতে পারে। আবার কিছু প্রতিক্রিয়া হয়, চুপ করে থাকা। আমি মনে করি নীরবতাই ভাল।”
২০২৬-এ আবার বিধানসভা নির্বাচন। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী ও কল্যাণের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সামনে আসার পর প্রশ্ন উঠছে, এবার কাঞ্চন টিকিট পাবেন তো? অভিনেতা তথা রাজনীতিক এ ব্যাপারে একেবারেই নিস্পৃহ! অন্তত তেমনটাই দাবি করছেন তিনি। কাঞ্চন বলেন, “এখনও এক বছর বাকি। ৪৫ সেকেন্ডের ভূমিকম্পে পশুপতিনাথ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আর এক বছরে অনেক কিছু হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রিকোয়েস্ট করেছিলেন, তাই এসেছি। তিনি যদি বলেন দরকার নেই, তাহলে দরকার নেই। চলে যাব। আমার কোনও অসুবিধা নেই।”
কাঞ্চন আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি যে সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকে লড়াই করেছিলেন, সেই সময় মমতার পাশ থেকে সরে যাচ্ছিলেন সবাই।