কলকাতা : দিনভর সিবিআই তল্লাশি চলল রাজ্যর আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে। কয়লা পাচার মামলায় মন্ত্রীকে ইডি একাধিকবার তলব করা হলেও, একবারই হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। তবে, বুধবার সকাল থেকে কলকাতায় তাঁর সরকারি বাসভবনে একটানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হল তাঁকে। এ দিন বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষ করে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন না মলয় ঘটক।
বুধবার তাঁর বাসভবন সহ মোট ৬ টি বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। কলকাতা ছাড়াও আসানসোলের তিনটি বাড়িতেও গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থার টিম। মূলত নথিপত্রের খোঁজেই গোয়েন্দারা গিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। তবে, কী নথি উদ্ধার করা হল, তা জানা যায়নি। বিকেলে মলয় ঘটক গাড়িতে চেপে বেরিয়ে আসেন বাসভবন থেকে। সাংবাদমাধ্যম তাঁকে ঘিরে ধরলে কয়েকবার কাচ নামিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। তবে সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি। স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলবেন না তিনি।
অন্যদিকে, আসানসোলের একটি বাড়িতে ছিলেন মলয়ের স্ত্রী সুদেষ্ণা ঘটক। সেই বাড়িতে আলমারি ভাঙার লোকও ডাকতে দেখা যায় এ দিন। তল্লাশি শেষ হলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মন্ত্রীর স্ত্রী জানান, তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত ভাল ব্যবহার করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁর দাবি, তল্লাশি চালিয়ে কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি গোয়েন্দারা। তাঁরা নাকি এও বলেছেন, ‘মন্ত্রীর বাড়ি বলে বোঝাই যাচ্ছে না।’ আর আলমারি ভাঙার লোক? সুদেষ্ণা দেবীর দাবি তিনি নিজেই ডেকে এনেছিলেন তাঁদের। আলমারির চালিয়ে হারিয়ে ফেলেছিলেন বলে আলমারি ভাঙতে হয় বলে দাবি করেন তিনি।
কয়লা পাচার মামলায় অনেক দিন ধরেই গোয়েন্দা সংস্থার নজরে রয়েছেন আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। সূত্রের খবর, কয়লা পাচারের টাকা থেকে কোনও ভাবে মন্ত্রী লাভবান হয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে চান আধিকারিকরা। এ দিন মন্ত্রীর হিসাব রক্ষকের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়।
তল্লাশি প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, ‘আগে চোরদের বাড়িতে রেড হয়েছে, এবারে ডাকাতদের বাড়িতে রেড হচ্ছে।’ শাসক দলের তরফে এই তল্লাশি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।