কলকাতা: গরমের দাবদহ তো চলেছেই। তবে এবার কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই আসছে বর্ষা। কেরলে। ৩১ মে কেরলে বর্ষার বৃষ্টি শুরুর পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। সাধারণত ১ জুন দেশের মূল ভূখণ্ডে বর্ষা ঢোকে। এবার একদিন আগেই আসছে। যদিও গত বছর কিছুটা দেরি করেছিল। গত বছর ৮ জুন কেরলে বর্ষার যাত্রা শুরু হয়। কেরলের পাশাপাশি রবিবার থেকেই নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষার যাত্রা শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছে মৌসম ভবন। দক্ষিণবঙ্গে (মূলত উপকূল) বর্ষা ঢোকে সাধারণত ১০ জুন। অন্যদিকে জলপাইগুড়িতে ঢোকে সাধারণ ৭ জুন নাগাদ। শিলিগুড়িতে সেটা ৮ জুন। কলকাতায় ১১ জুনের কাছাকাছি পা রাখে বর্ষা। তবে এবার বাংলায় কবে আসবে তা এখনই বলতে চাইছেন না আবহাওয়াবিদরা। কেরলে আসার পর ধাপে ধাপে কী ভাবে এগোবে বর্ষা তার উপর ভিত্তি করে বাকি পূর্বাভাস জানানো হবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। আপাতত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিই ভরসা।
বাংলায় গত এক সপ্তাহ ধরে লাগাতার বৃষ্টির ছবি দেখা গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ, ভিজেছে প্রায় সব জেলাই। তবে নতুন সপ্তাহের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে বৃষ্টির দাপট কমে এসেছে। যদিও আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কিছু জেলায় হালকা বৃষ্টি চলবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। নতুন করে তাপমাত্রা বাড়ারও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা ফের চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি পেরিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুষ্ক আবহাওয়ার সঙ্গে গরমও ক্রমশ বাড়তে থাকবে। শনিবারের মধ্যে তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে জেলায় জেলায়। পশ্চিমের জেলায় তাপমাত্রা ৪০ পেরিয়ে যাবে। কোথাও কোথাও ৪২ ডিগ্রিও ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ঘোরাফেরা করছে ৪৮ থেকে ৮৮ শতাংশের আশপাশে।