কলকাতা: ডেঙ্গিতে পরপর মৃত্যু রাজ্যে। বাড়ছে আতঙ্ক। দক্ষিণ দমদমেই ফের ডেঙ্গিতে এক পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে একদিন আগে। সারা রাজ্যে মৃত বেড়ে ২৪। শিশু-কিশোর-যুবকদের অকাল মৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ। চিকিৎসকেরা বলছেন, ডেঙ্গিতে জ্বরের স্থায়িত্ব বেড়েছে। উপসর্গেও বাড়ছে শারীরিক জটিলতা। মত একাধিক চিকিৎসকের। সারা রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ২৭২ জন। শহরাঞ্চলের রোগে বিপদ গ্রামেও। গ্রামে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ১০ হাজার ৩২১ জন। শহরে আক্রান্ত ৪ হাজার ৯৫১ জন। রানাঘাট, আমডাঙা, বনগাঁ, হরিনঘাটা, শান্তিপুর, হাবরা, চাকদহে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য ভবনের পরিসংখ্যানই বলছে সে কথা।
গোটা রাজ্যে মোট ডেঙ্গির কোপে ১৫,২৭২ জন পড়লেও পরিসংখ্যান বলছে এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলে আক্রান্ত ১০,৩২১। শহরাঞ্চলে আক্রান্ত ৪,৯৫১। ডেঙ্গি বাড়ছে রানাঘাট, আমডাঙায়। প্রকোপ বেড়েছে বনগাঁ, হরিনঘাটা, শান্তিপুর, হাবরায়। একইসঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে চাকদহ, কালিয়াচক, সিঙ্গুর, চণ্ডীতলার মতো এলাকাগুলিতে।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভোর ৩টে ৪৬ মিনিট নাগাদ তার মৃত্যু হয় মদম থানার অস্থায়ী পুলিশ কর্মী প্রীতম ভৌমিকের। বিগত কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনিবাস রোড অঞ্চলে। ভর্তি ছিলেন নাগেরবাজার এক নার্সিংহোমে। তিনিও পড়েছিলেন ডেঙ্গির কবলে।
এদিকে দমদম, আমডাঙা, হাঁসখালি, বনগাঁর মতো সমস্ত জায়গা খোলা ড্রেনের কারণেই আরও মশার উপদ্রপ বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। কিন্তু, অবস্থা তো মোটের উপর একেই কলকাতাতেও। কেন? উঠছে প্রশ্ন। কিন্তু, কলকাতা পুরসভার তরফে বলা হচ্ছে তাদের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত। কিন্তু সাধারণ মানুষের অভিযোগ মশা মারার তেল বা ধোঁয়া ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে না পুরসভার তরফে। তাই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি। যদিও কলকাতা পুরসভার তরফে দেওয়া হচ্ছে সচেতনতা বার্তা, চলছে প্রচার। জল যাতে কোথাও না জমে সে বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে নাগরিকদের। কিন্তু, সরকার হোক বা আম-জনতা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার বাজারে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে ডেঙ্গির প্রকোপ ঠেকানো যাবে কী? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।